নিজস্ব প্রতিবেদন : আয়কর বিভাগের নিয়মানুযায়ী আয়কর জমা না দিলে হতে পারে মামলা ও কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা। ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যাদের ভেরিফিকেশন হয়নি তাদের ইনকাম ট্যাক্স ডিপারমেন্ট আরও একবার ই-ফাইল ভেরিফাই বা যাচাই করার সুযোগ দিচ্ছে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আয়কর জমা দেওয়ার পদ্ধতিগুলি সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করতে হবে আয়কর দাতাদের।
পুরনো আয়কর ভেরিফিকেশন করার ৫টি নতুন নিয়ম – ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ আয়কর জমা দেওয়ার আর্থিক বছরগুলির জন্য একবার মাত্র বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ছাড় দেবে না আয়কর দপ্তর যেখানে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
১. আধার কার্ড ও OTP মোবাইলে OTP বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের মাধ্যমেই ভেরিফিকেশন করা সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে আধার কার্ড থাকা প্রয়োজন। আয়কর দপ্তরের ই-ফাইলিং ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে হবে। সেখান থেকে জেনারেট আধার OTP to e-verify account অপশনে ক্লিক করতে হবে। আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বরে একটি OTP পাঠানো হবে। সেটি সফলভাবে যাচাই করতে হবে। ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে ওয়েবসাইট থেকে স্লিপ ডাউনলোড করতে হবে।
২. নেটব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমেই এখন জানা সম্ভব হবে। সেটা করতে গেলে ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে নেটব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত লগ ইন ক্রেডেনশিয়ালস ব্যবহার করে লগ ইন করুন। হোমপেজে রয়েছে IT ফাইলিংয়ের ট্যাব। সেখানে ই-ভেরিফাই-এ ক্লিক করলে ই-ফাইলিং সাইট আসবে। সেখানে মাই অ্যাকাউন্টে ক্লিক করলে EVC বা ই-ভেরিফিকেশন কোড চালু হবে। তা চলে যাবে আয়কর দাতার রেজিস্টার করানো ইমেল আইডি এবং মোবাইল নম্বরে। সেই EVC ব্যবহার করে জমা করা আয়কর রিটার্নের ই-ভেরিফিকেশন করা সম্ভব।
৩. সরকারি ই-ফাইলিং পোর্টাল বার্ষিক আয় ৫ লাখের এবং কর সংক্রান্ত তথ্য থাকলে লগ ইন করা যাবে সরকারি ই-ফাইলিং পোর্টালে। এখানেও করা যাবে ই-ভেরিফিকেশন।
৪. ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তথ্যের জন্য ই-ফাইলিং ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট তথ্যে প্রি-ভ্যালিডেট করার প্রয়োজন পড়বে। দরকার হবে ব্যাঙ্কের নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর, IFSC কোড এবং মোবাইল নম্বর, যেগুলি যোগ করাতে হবে ওয়েবসাইটে। ব্যাঙ্কের তথ্য ও PAN কার্ড মিললেই ভ্যালিডেশনের কাজ সম্পন্ন হবে।
আয়কর জমা দেওয়ার ফাইলগুলো সম্পূর্ণ না হওয়াতে অনেক সময় বাতিল হয়ে যেত। সেগুলোর ক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত।
৫. ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন পদ্ধতির যে নিয়ম তা ব্যাঙ্কের মতোই। তবে এক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের ভ্যালিডেশন। সফল ভ্যালিডেশনের পর EVC জেনারেট হলে, তা ব্যবহার করেই ভেরিফিকেশন সম্ভব হবে।
যেসব আয়কর দাতা তাদের আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়সীমা মেনে চলতে পারেনি তাদের হাতে এখন অনেক সুযোগ এসেছে। তাঁরা তাঁদের পুরনো আয়কর জমা করার সুযোগ ৩০এ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাবেন। যদি তা না হয় আয়কর দাতাদের কাছে নন ফাইলিংয়ের নোটিশ যাবে।