বজ্রবিদ্যুৎ সহ মুষলধারে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে, সাথে ঝড়ো হাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওয়া অফিসের তরফ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ জেলায় আগেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা। সেই মতো বুধবার সন্ধ্যা হতেই মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়ায় শুরু হয় ঝড়ো হাওয়ার সাথে মুষলধারে বৃষ্টি। পাশাপাশি রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ ঘনঘটা। এই দুর্যোগ চলবে টানা তিন দিন শুক্রবার পর্যন্ত।

পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও পূবালী হাওয়া সংঘাতের কারণে চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। বুধবার সন্ধ্যায় বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় এই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ার সাথে মুষলধারে বৃষ্টির দেখা মিলেছে, পাশাপাশি বজায় রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-এর ঘনঘটা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের কারণে বিপুল পরিমাণ জলীয়বাষ্প ঢুকেছে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ জেলায়। যে কারণেই এই বৃষ্টি বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুর্যোগ আরও বাড়বে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। আর এই বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায়।

বুধবার কলকাতা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১° কম। তিনি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যাও স্বাভাবিকের থেকে ১° কম। বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাপ ৫৯ থেকে ৪৩ শতাংশ।

শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিস সূত্রে বুধবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা জানা গিয়েছে ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১° বেশি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১° কম। বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাপ ৭২ থেকে ৮১ শতাংশ।