Jakarta faces major setbacks with 40% of city under water: বহুবিধ কারণে পূর্বে অনেক দেশ তাদের রাজধানী স্থানান্তরিত করেছে। নতুন জায়গায় রাজধানী স্থাপন করেছে। এবার সেই তালিকায় নাম উঠতে চলেছে ইন্দোনেশিয়ার। কারণ খুব শীঘ্রই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা (Jakarta) থেকে রাজ্যপাট সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বোর্নিওর পূর্ব উপকূলে। যা জাকার্তা থেকে প্রায় ১৪০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। কিন্তু কেন? কি কারনে এই রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত?
দেশের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী স্থানান্তরনের (Jakarta) প্রধান কারণ হলো জলবায়ু সংকট। দিন দিন ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা গ্রাস করে চলেছে সমুদ্রপৃষ্ঠ। হু হু করে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। যার প্রভাবে দিন দিন জাকার্তার স্কুল, কলেজ, খেলার মাঠ, প্রশাসনিক ভবন, জনবসতি সমস্ত কিছুই জলের তলায় নিমজ্জিত হয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই এই নগর কেন্দ্রের ৪০ শতাংশ ভূমি তলিয়ে গিয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠে। যার ফলে এই শহরের সীমানাবর্তী এলাকার ১ কোটি মানুষ এবং মেট্রোপলিটন এলাকার বসবাসকারী ৩ কোটি মানুষের আবাসস্থল বিপদের মুখে। প্রায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
ফলে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যপাট সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। জাকার্তা থেকে প্রায় ১৪০০ কিলোমিটার দূরে নুসন্তরা নামে একটি শহরে নতুন রাজ্যপাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুতগতিতে চলছে নির্মাণকার্য। মূলত জলবায়ুর সংকটের কারণেই এই অপসারণের সিদ্ধান্ত। যা সরকারকে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।
রাষ্ট্রপতির সমর্থন কি রয়েছে এই রাজধানী স্থানান্তরে? খবর হয়েছে, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো এই রাজধানী অপসারণের বিষয়টিতে পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন। কারণ বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আগামী ২০৫০ সালে জাকার্তা শহরের এক-তৃতীয়াংশ জলের তলায় নিমজ্জিত হবে। যা আশঙ্কা করছে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
শুধু জলবায়ুর সংকট তা নয়, এই শহরের নিকাশি ব্যবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। নোংরা আবর্জনা সবকিছু জমা হয় সেপটিক ট্যাঙ্কে। যার ফলে এখানকার মানুষদের মাটির নিচের জল খাওয়া বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কমে গিয়েছে সবুজের পরিবেশ। চারিদিকে কংক্রিটের বৃষ্টি। যার ফলে বৃষ্টির জল পৌছাতে পারেনা মাটিতে। ফলস্বরূপ এই সব মিলিয়ে মিশেই জাকার্তা শহরের (Jakarta) অবস্থা খুবই শোচনীয়। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতেই এই সিদ্ধান্ত ইন্দোনেশিয়া সরকারের।