জীবনকৃষ্ণের পুকুরে উঠল খানকতক জিওল মাছ! মোবাইল খুঁজতে এসে পৌষ মাস শ্রমিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রায় ৬৫ ঘন্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা গ্রেপ্তার করেন জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jiban Krishna Saha)। জীবন কৃষ্ণ সাহাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে এলে রীতিমতো নাটকীয় কাণ্ডকারখানা তৈরি হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জীবনকৃষ্ণ সাহা তার দুটি মোবাইল বাড়ির পাশে থাকা পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেন।

পুকুর থেকে সিবিআই আধিকারিকরা বিধায়কের দুটি মোবাইল উদ্ধার করার জন্য রীতিমত যুদ্ধ শুরু করে দেন। পাম্প সেট বসিয়ে পুকুরের জল সরানোর কাজ শুরু হয়। তারপর পাঁক ঘেঁটে মোবাইল উদ্ধার করার কাজে নামানো হয় শ্রমিক। এসব করে একটি মোবাইল উদ্ধার হলেও দ্বিতীয় মোবাইল উদ্ধার হয়নি। এরই মধ্যে মোবাইল উদ্ধারের জন্য বুলডোজারও নামানো হয়।

তবে যে সকল শ্রমিকরা পুকুর থেকে মোবাইল উদ্ধার করতে এসেছিলেন তাদের বেশ তো পৌষ মাস হয়ে দাঁড়ায় এই ঘটনা। কারণ দ্বিতীয় মোবাইল উদ্ধার করতে তারা সক্ষম না হলেও তাদের হাতে আসে খান কতেক বড় বড় জিওল মাছ। বড় বড় জিওল মাছ তাও আবার বিধায়কের পুকুর থেকে! এর থেকে ভাগ্যের ব্যাপার আর কি হতে পারে।

জীবনকৃষ্ণ সাহা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও এক বিধায়ক হিসাবে সোমবার গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে এই দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মানিক ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষ সহ একাধিক প্রভাবশালী নেতাদের। আর এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার জীবনকৃষ্ণ। তবে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করতে যেভাবে কালঘাম ছুটেছে সিবিআই আধিকারিকদের তা এর আগে কখনো হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, উত্তরাধিকার সূত্রে তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি থাকলেও ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাকে ব্যাপকভাবে ফুলেফেঁপে উঠতে দেখা যায়। এই সময়কালে তিনি মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি কিনেছেন নামে বেনামে। তার সমস্ত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা হবে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ।