‘যারা অসৎভাবে চাকরি পেয়েছে, সবার চাকরি যাবে’, কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাম্প্রতিককালে এমন কিছু রায় দিয়েছেন যেগুলি নিয়ে যেমন বিতর্ক তৈরি হয়েছে, ঠিক তেমনি আবার সেই সকল রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারের উপর আস্থা দিন দিন বাড়ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে এই সকল রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যেমন তিনি একাংশের কাছে ভগবান হয়ে উঠেছেন, ঠিক তেমনি আবার অন্য এক অংশের কাছে হয়ে উঠেছেন পক্ষপাতদুষ্ট।

সাম্প্রতিককালের কিছু তথ্য বলছে, গত ১০ মাসে তিনি ১০টি মামলা সটান তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। তারই নির্দেশে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যেই একাধিক জন চাকরি পেয়েছেন এবং পূজোর আগে ১৮৭ জন চাকরি পেতে চলেছেন। এই বিচারপতি সোমবার এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন দুর্নীতিগ্রস্তদের।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, ‘যারা দুর্নীতি করেছে, ধরা পড়লেই চাকরি যাবে। যারা অসৎভাবে চাকরি পেয়েছে, সবার চাকরি যাবে। তারা কেউ যেন নিশ্চিন্তে না থাকে। তদন্তের সময় বেঁধে দেওয়ার কারণ, রাজনীতিবিদরা অত্যন্ত কৌশলী। সময় বেঁধে না দিলে তারা বেরিয়ে যাবেন।’

এর পাশাপাশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তিনি নিজেও বেকার ছিলেন এবং বেকারদের কষ্টটা বোঝেন। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মুড়ি-মুড়কির মত দুর্নীতি হয়েছে। একই জিনিসের দুরকম ভার্সন দেখে তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়াও এইভাবে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিতর্ক তৈরি হবে এই কথা মাথায় রেখে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘শুধু আমি নয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে বিচারপতি রুখে দাঁড়াবেন, তিনিই প্রোজেক্টেড হবেন।’ অন্যদিকে তিনি যে সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং রায় দিয়েছেন সেই সকল রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানিয়েছেন, তাকে যদি জুডিশিয়ারি থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয় তাতেও তিনি মনে করেন যা করেছেন ঠিক করেছেন। অফিসারদের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যে বিনিয়ম করে পার পাওয়া যায় না।