মাদ্রাসা কমিশনে দুর্নীতি, কমিশনই তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদন : শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একের পর এক অভিযোগ এবং দুর্নীতি সামনে আসছে। এসএসসি দুর্নীতির পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রেও চরম থেকে চরমতম অভিযোগ। এমনকি এই প্রাইমারি শিক্ষক শিক্ষিকার নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২৬৮ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন।

এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে পুরোদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও তদন্তভার নিয়েছে সিট। তবে এসবের মধ্যেই এবার নতুন করে দুর্নীতির আঁচ পাওয়া যাচ্ছে মাদ্রাসা কমিশনের ক্ষেত্রেও। এখানেও দুর্নীতির আঁচ পেতেই চরম ক্ষোভ উগরে দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

একের পর এক এই ধরনের দুর্নীতি নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, নতুন করে কোনো দুর্নীতির খোঁজ পেলে প্রয়োজনে মাদ্রাসা কমিশন তুলে দেওয়ার। বিচারকের এই হুঁশিয়ারি পরেই প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা।

মাদ্রাসা কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এবার দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সাত জন চাকরিপ্রার্থী। মাদ্রাসা কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১০ সালে যে নিয়ম জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ডিএলএড ও বিএড পাশের সার্টিফিকেট যাদের রয়েছে তারা নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

কিন্তু ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসা কমিশন যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাতে বলা হয়, উপযুক্ত প্রার্থীদের না নিয়োগ করে মেধার ভিত্তিতে যাত্রীদের সুপারিশ করা হয়। অভিযোগ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই কম মেধার চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আকমল হোসেন সহ মোট সাতজন চাকরিপ্রার্থী।