‘নিজের স্টাইলে করেছি, আগামীদিনেও করবো’, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : ৬০ বছরের কাজ ৬ মাসের মধ্যে করে দিয়ে বিচার ব্যবস্থায় ন্যায়প্রার্থীদের আলাদা ভরসা যিনি জুগিয়েছেন তিনি হলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। গত কয়েক মাসে তিনি যেভাবে একের পর এক দুর্নীতির মামলায় রায় দিয়েছেন তা রীতিমত কাঠগড়ায় তুলেছে প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজদের। আর এসবের কারণেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মানুষ থেকে পরিণত হয়েছেন ভগবানে।

কিন্তু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যাত্রাপথ হঠাৎ টলমলে হয়ে যায় শুক্রবার। যখন সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলা তার বেঞ্চ থেকে সরে যাচ্ছে। যদিও পরে জানা যায়, নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলা চলছে না, কেবলমাত্র দুটি মামলা সরছে বিচারপতি অভিযোগ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজ্লাস থেকে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল। তিনি স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেন, নিজের স্টাইলে কাজ করেছেন এবং আগামী দিনেও করে যাবেন।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই তিনি আগামী দিনেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের লড়াই সমান ভাবে চালাবেন বলে জানিয়ে দেন। আর এই সকল কথা জানাতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট ভাবেই জানান, “আমি যখন বাইরে থাকবো তখন অন্য কিছু হিসেবে কাজ করব, আমি যে কোন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হব।”

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তার কোনরকম মন খারাপ নয়। কারণ তিনি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এই মামলা শুরু করেননি। যে কারণে এই মামলা তার কাছে রইল নাকি অন্য কারো কাছে গেল তা নিয়ে বিশেষ কোনো মাথাব্যথা তার নেই।

এছাড়াও তিনি আশাহত তার অনুরাগীদের উদ্দেশ্য করে জানান, অপেক্ষা করতে হবে। মামলা তো আর শেষ হয়ে যায়নি। যার কাছে মামলা যাবে তিনিও দেখবেন। কারণ তিনিও একজন হাইকোর্টের জর্জ। তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তিনি কোনভাবেই সরে যাচ্ছেন না কারণ তিনি সরে যাওয়ার মানুষ নন। তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজের কাজ নিয়ে জানান, ‘একেক জনের স্টাইল অফ ফাংশন এক এক রকম। আমার স্টাইল অফ ফাংশন নিয়ে আমি কাজ করেছি। পরবর্তী যিনি আসবেন তিনি তার নিজের স্টাইল অফ ফাংশন নিয়ে কাজ করবেন। যে কাজটা আমি ছয় মাসে করছিলাম সেই কাজটা করতে কারো ৬০ বছর লেগে গেলেও কিছু বলার নেই।”