তৃণমূল ব্লক সভাপতির ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসে মোদির জয়গান গাইলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিজেপির অবস্থা একেবারে সাপে-নেউলে। তবে এরই মাঝে ব্যতিক্রম ঘটনা দেখা গেল শুক্রবার। ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৩ তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে বীরভূমের নলহাটি থানার কৃষ্ণপুরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যে অনুষ্ঠানে অন্যতম প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

অন্যদিকে এই অনুকূল ঠাকুরের আশ্রমের প্রধান কর্ণধার হলেন বিভাস চন্দ্র অধিকারী। যার আবার রয়েছে একটি রাজনৈতিক পরিচয়ও। তিনি বর্তমানে নলহাটি ২নং ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি। আর এই তৃণমূল ব্লক সভাপতির আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসে মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গান গাইলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয় গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি বিভাস চন্দ্র অধিকারী প্রসঙ্গেও প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন।

কৈলাস বিজয়বর্গীয় কথায়, দেশ-বিদেশ যেখানেই যাওয়া হোক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গান শোনা যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই মতুয়াদের কথা ভেবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এনেছেন। যে আইনের মাধ্যমে অন্যান্য দেশ থেকে আসা হিন্দু নাগরিকরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। পাশাপাশি তিনি রেশন সামগ্রী প্রসঙ্গ তুলে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের মানুষদের জন্য ২ টাকায় রেশন সামগ্রী দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে।

আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এইভাবে প্রশংসা করার পাশাপাশি কৈলাস বিজয়বর্গীয় ওই অনুকূল ঠাকুরের আশ্রমের কর্ণধার বিভাস চন্দ্র অধিকারীর প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন, “যেভাবে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন ঠিক একইভাবে বিভাস দা এবং তার এই সংস্থান গরিব মানুষদের জন্য কাজ করে চলেছে। গরিবের সেবা করাই হল ভগবানের সেবা করা।”

[aaroporuntag]
এর পাশাপাশি দিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে এই অনুষ্ঠান মঞ্চে গান গাইতেও দেখা যায়। আর তার গান গাওয়ার সময় বাদ্যযন্ত্র হাতে দেখা যায় বিভাস চন্দ্র অধিকারীকে। রাজ্যে যখন ভোটের আগে শাসকদল তৃণমূল এবং প্রধান বিরোধী দল গেরুয়া শিবিরের মধ্যে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে ঠিক সেই সময় তৃণমূল নেতা আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসে বিজেপি নেতার এই ভাবে প্রধানমন্ত্রী এবং অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তার প্রশংসা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।