‘মমতা সরকারের বিরুদ্ধাচরণ’, অভিষেককে ভর্ৎসনা কল্যাণের, ‘দল থেকে তাড়িয়ে দিলে দিক’

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নিজের লোকসভা কেন্দ্রে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি বর্তমানকালে পৌর নির্বাচন নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত মতামত পোষণ করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ব্যক্তিগত মতামত পোষণের পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এর পরিপ্রেক্ষিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি তাকে ভর্ৎসনা করেছেন।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ডায়মন্ডহারবারকে মডেল হিসাবে প্রতিস্থাপিত করার চেষ্টা করছেন সেই সময় দলের অন্দরে লক্ষ্য করা গেল অমিল। দলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের সরাসরি বিরোধিতা করলেন দলের আরেক সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতা বলে মানতেও নারাজ। এর পরিপ্রেক্ষিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এটাও জানান, ‘প্রয়োজন পড়লে আমাকে দল থেকে তাড়িয়ে দিক।’

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদটি সর্বক্ষণের। তাই এই পদে থেকে কারও ব্যক্তিগত কোনও মত থাকতে পারে না।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে দলের মধ্যে শুরু হয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোন ভাবেই নিজের মত থেকে সরে আসতে চান না। এর পাশাপাশি তিনি একটি সর্বভারতীয় সংবাদ চ্যানেলকে জানান, ‘এটা সরকার বিরোধী কথা বলেছেন অভিষেক। এটাই আমার মত। সরকার যখন একটা স্ট্যান্ড নিচ্ছেন, তখন অন্য মত প্রকাশ করার অর্থ দলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। নির্বাচন হওয়া ভালো কি মন্দ, আমি তাতেও যাব না”

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “দল থেকে তাড়িয়ে দিক না, তাড়িয়ে দিলে আট লক্ষ টাকা রোজগার করবো। ২০১১ সালের আগে থেকে রাজনীতিতে আছি। আমি পিতৃ পরিচয়ে রাজনীতি করতে আসিনি।”

অন্যদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে একপ্রকার কটাক্ষ করে বলেন, ‘সন্ধ্যার পর এইসব কথা বলেননি তো? ঘড়ির টাইম দেখে কথা বলা উচিত।’ এর পাশাপাশি কুণাল ঘোষ গত নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়শী প্রশংসা করেন। এর পাল্টা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আবার জানান, “কুণাল ঘোষের সার্টিফিকেট নিয়ে আমাকে চলতে হবে না। কুণাল মমতাকে নিয়ে কি কদর্য কথা বলেছেন! দলের মুখপাত্র হয়ে ব্যক্তিগত ভাবে আমার চরিত্র হনন করেছেন কুণাল, আমি এটা দেখে নেব।”

অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবারে ৫৩ হাজার কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে গত বুধবার। যে ঘটনাকে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় বিশ্ব রেকর্ড বলে উল্লেখ করা হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনেও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “আমাকে অত কিট দিক না, ৫০ হাজার দিক। আমিও করে দেব ১২ ঘণ্টায়। ডায়মন্ড হারবার মডেল আবার কী?”