১০ বার গিনেস রেকর্ডসে নাম তুলে বিশ্বের ১ নম্বর এই যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদন : নেশা তো অনেক রকমের হয়। কিছু নেশা প্রাণঘাতী কিছু নেশা খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়। ভাবছেন তো এমন কোন নেশা আছে যা মানুষকে খাতির চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে দেয়? আছে। এমনই একজন মানুষের কথা আজকে বলবো। যিনি তার নেশার কারনেই বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। রেকর্ড ভাঙ্গার নেশা তার‌। গত এক বছরে তিনি গুনে গুনে ১০ টি রেকর্ড ভেঙে গিনেস বুকে নিজের নাম তুলেছেন। সর্বোচ্চ গিনেস রেকর্ড এখন তারই দখলে।

তিনি নোয়াখালির বাসিন্দা। নাম তুর্কি কনক কর্মকার। ফেনি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র সে। বয়স কুড়ি বছর। পাওয়ার টেকনোলজির ছাত্র কনক নিজের কপালে ১১৫০ টি কাগজের কাপ মাত্র ৬৬ সেকেন্ডে রেখে রেকর্ড গড়েন তিনি। প্রথমবার গিনেস বুকে নাম ওঠে তার এই কাজের জন্য। ফুটবল নিয়েও তিনি বিভিন্ন রকম কেরামতি দেখিয়েছেন। আর তার সবশেষের রেকর্ডটি হল হাঁটুতে ফুটবল এক মিনিটে সর্বোচ্চ বার স্পর্শ করে। ২০১৯ সালের ২৭ শে ডিসেম্বর গিনেস কর্তৃপক্ষ তার রেকর্ডকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

পরপর ১০ টি রেকর্ড ভাঙ্গার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে কনক কর্মকার জানান, “থেমে যেতে নয় বরং চলতে শেখার নামই হলো জীবন। জীবনে যতবার নিজের অর্জনকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়, ততবারই মনে হয় বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাই। বেঁচে থাকার এই প্রেরণাই আমাকে পথ দেখিয়েছে, নতুন ইতিহাস গড়ার। সেই পথ ধরে হেঁটে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১ বছরে ১০টি গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের পরিসংখ্যান দেখে খুব খুশি হই। ভাবি জীবন সত্যি সুন্দর। তখন অনেক প্রতিহিংসার ভীড়েও বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাই।”

নিজের স্বপ্নকে তিনি নিজেই সার্থক করে তুলেছেন তার কথায়, “খুবই ভাল লাগছে। দেশের নামটা বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে সবসময় ভাল লাগে। একটা মিশন থেকেই এই রেকর্ড গড়া। চেয়েছিলাম এক বছরে ১০ টি রেকর্ড গড়বো। সেটি করতে পেরে ভাল লাগছে।”

পরিবারের বড় ছেলের এই সাফল্যে বাবা বাবলু কর্মকার ও মা শিল্পী কর্মকার দুজনেই খুশি। বাবা অবশ্য কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন।

এই রেকর্ড গড়ার অনুপ্রেরণা কনক পেয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর থেকে। যদিও এখনো তার সাথে দেখা হয়নি কনকের। কনকের কথায়, “প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার ইচ্ছা ছিল আগে থেকেই। এখনও দেখা হয়নি। আশা করছি দেখা হবে। আমাকে উৎসাহ দিবেন তিনি।”

এই দশটি রেকর্ডেই আটকে থাকবেন না কনক। খুব শীঘ্রই আসছে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। এইদিন নতুন কিছু করবেন তিনি। যদিও তিনি ঠিক কী করতে চলেছেন সে সম্পর্কে কিছুই বলেননি। কনকের কথায়, “মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই একটা রেকর্ড করার চেষ্টা করব। বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। এটা চমকই থাক।” তার এই নতুন কিছু দেখবার জন্য আমরা সকলেই উৎসাহী। আমাদের টিমের পক্ষ থেকে তাকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।