ঐন্দ্রিলার প্রাণ কাড়লো ইউয়িং সারকোমা, কতটা ক্ষতিকর এই রোগ, জানালেন বিশেষজ্ঞরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ১ নভেম্বর থেকে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর রবিবার অর্থাৎ ২০ নভেম্বর বিলীন হলেন উঠতি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। এর আগেও মৃত্যুর মুখ থেকে এই অভিনেত্রীকে একাধিকবার ফিরে আসতে দেখা গিয়েছে। সেই হিসাবে তার অনুরাগীদের মধ্যে আশা ছিল লড়াই করে এবারও ফিরে আসবেন অভিনেত্রী। কিন্তু তা আর হলো না।

মাত্র ২৪ বছর বয়সে এই অভিনেত্রীর এইভাবে চলে যাওয়া সাধারণ মানুষেরা ছাড়াও বিনোদন জগতের কেউ মেনে নিতে পারছেন না। ২০১৫ সালে যখন প্রথম অভিনেত্রী শরীরে দুরারোগ্য ক্যান্সার ধরা পড়ে তারপর থেকেই তিনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। লড়ায়ের পথে বহু কাঁটা এলেও সেই সকল কাঁটাকে সরিয়ে তিনি জয় হাসিল করেছিলেন। তবে একের পর এক ক্যান্সারই শেষ পর্যন্ত কেড়ে নিল তার জীবন।

চিকিৎসকদের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, ঐন্দ্রিলা শর্মার জীবন কেড়েছে ইউয়িং সারকোমা টিউমার। তাদের তরফ থেকে এটাও জানা যাচ্ছে এই টিউমার শিশু তার জন্মের সময় থেকেই নিয়ে আসে। বয়স যত বাড়তে থাকে ততই ওই টিউমার প্রাণঘাতী ক্যান্সারে পরিণত হতে শুরু করে। তবে কার এই ধরনের টিউমার আছে অথবা কে বিপদমুক্ত তা এখনো পর্যন্ত সঠিক ভাবে জানা যায় না।

এছাড়াও চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইউয়িং সারকোমা এমন এক ধরনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা শরীরের এক জায়গা থেকে সরে গেলেও অন্য জায়গায় বাসা বাঁধে। এছাড়াও এই ধরনের টিউমার হার্ট এবং মস্তিষ্কে মারাত্মক আকার নেই। এই রোগে যারা আক্রান্ত থাকেন তাদের ফিরিয়ে আনা একপ্রকার অসম্ভব। ঐন্দ্রিলা এই ইউয়িং সারকোমা রোগী আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।

ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর হাসপাতালে তরফ থেকে যে বুলেটিন দেওয়া হয়েছে তাতে ইউয়িং সারকোমার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গত সপ্তাহের বুধবার থেকেই ঐন্দ্রিলার শরীরের প্যারামিটারগুলি কমতে শুরু করে। রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে মাথা, হার্ট এবং শরীরের অন্যান্য জায়গায়। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর আগে শনিবার ১০ বার হার্ট অ্যাটাক হয় বলে জানা যাচ্ছে।