কনস্টেবল থেকে অনুব্রতর দেহরক্ষী, কয়েক কোটির জমি বাড়ি সায়গালের

নিজস্ব প্রতিবেদন : অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গাল হোসেন গতকাল পর্যন্ত অনেকের কাছেই অপরিচিত ছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার তিনি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। তবে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মালিথা পাড়ায় গিয়ে ববিনের বাড়ি বললেই যে কেউ চিনিয়ে দেবে।

গ্রামের মাঝে সবুজ এক অট্টালিকা তার। ৬ বিঘা জমির ওপর বানিয়েছেন প্রাসাদোপম বাড়ি। সায়গাল হোসেন সাধারণ একজন কনস্টেবল এবং অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী হয়ে কিভাবে এত বড় অট্টালিকা বানালেন তা নিয়ে কারণ মধ্যে প্রশ্ন জাগে নিয়ে এমনটা নয়, তবে তা নিয়ে বিশেষ কৌতুহল প্রকাশ করতে পারেননি প্রতিবেশীরা। অন্যদিকে এই সায়গাল হোসেন এলাকায় সাতে-পাঁচেও খুব একটা থাকেন না, তবে তার ফুলে-ফেঁপে ওঠা সম্পত্তি নজরে আসে প্রত্যেকের।

গরু পাচার মামলায় এর আগে একাধিকবার সায়গাল হোসেন সিবিআই-এর তলব পান। এরপর বৃহস্পতিবার তাকে নতুন করে তলব করে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে দুপুর দুটোর পর হাজিরা হওয়ার পরই শুরু হয় নতুন করে জেরা এবং সন্ধ্যাবেলায় গ্রেপ্তার করা হয়। গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের কাছে বিপুল অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, আয় ও ব্যয়ের হিসাব দিতে পারেননি তিনি। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে তার। জানা যাচ্ছে ডোমকলে তার একটি নয়, তিন তিনটি বাড়ি রয়েছে। মালিথা পাড়ার বাড়ি ছাড়াও তার আর দুটি বাড়ি রয়েছে বাজারপাড়া ও ধুলাউড়িতে।

এছাড়াও এলাকায় বেশ কিছু জমি রয়েছে তার এবং অন্যান্যদের নামে। যে পরিমাণ জমি তিনি কিনেছেন তার মূল্য আনুমানিক ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এসকল জমি কেনা হয়েছে ৮ থেকে ৯ মাস আগে। মুর্শিদাবাদ ছাড়াও বোলপুরে তার নামে ফ্ল্যাট এবং জমি রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।