করোনার কলার টিউনে সতর্কবার্তা দেওয়া সেই মহিলা আসলে কে

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পরা শুরু হতে প্রতিটি টেলিকম সংস্থা রিংয়ের পরিবর্তে করোনা সর্তকতা শোনাতে শুরু করে। কোন কোন টেলিকম সংস্থা ফোন করার সময় অপর প্রান্তে রিং হওয়ার আগে এই সতর্কবার্তা শোনাচ্ছে, আবার কেউ শোনাচ্ছে রিংয়ের পরিবর্তে। কিন্তু এই সর্তকতা বাণী শোনানো মহিলাকণ্ঠ কার জানেন?

সরকারিভাবে এই সতর্কবাণীতে ভয়েস দেওয়া মহিলা একসময় তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিক হিসাবে। বর্তমানে তিনি পেশায় সর্বক্ষণের জন্য ভয়েস আর্টিস্ট। ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার সময় তিনি কয়েকটি বিজ্ঞাপনে ভয়েস ওভারের জন্য অফার পেতে শুরু করেন। আর তারপর আস্তে আস্তে এই ভয়েস ওভারকেই মূল পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। আর তিনি হলেন জসলিন ভাল্লা। যার কণ্ঠস্বর আজ দেশের কোটি কোটি মানুষ শুনছেন।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎ দেওয়ার সময় জসলিন ভাল্লা জানান, যখন তাকে এই স্ক্রিপ্টটি দেওয়া হয়েছিল ভয়েস ওভার দেওয়ার জন্য তখন তিনি জানতেন না কোথায় এর ব্যবহার হবে। যে কারণে সতর্কতামূলক প্রচার হিসেবে একটু গম্ভীর গলাতেই এই ভয়েস দিয়েছিলেন তিনি। তারপর পরে বুঝতে পারেন গোটা দেশের মানুষের ফোন কলে এই কণ্ঠস্বর শোনা যাবে।

তবে করোনা সম্পর্কিত এই সতর্কবাণী গত তিন মাস ধরে শুনতে শুনতে অনেক মানুষ বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি এসব নিয়ে মিমের বন্যা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এসব নিয়ে অবশ্য এতোটুকু ক্ষোভ নেই এই ভয়েস ওভার আর্টিস্ট জসলিন ভাল্লার। বরং তিনি সাক্ষাৎকারে ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার পরিবার-পরিজনও এই ৩০ সেকেন্ডের একঘেয়ামি সর্তকতাবাণী শুনতে শুনতে বিরক্ত।