সামনেই সাধারণ বাজেট, আমজনতার পকেটে নিয়ে টানাটানি, এই ক’টি জিনিস না জানলে নয়

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেখতে দেখতে আসছে ফেব্রুয়ারি মাস। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন পেশ করবেন ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষের সাধারণ বাজেট। প্রতিবছর এই সাধারণ বাজেট নিয়ে আমজনতার কৌতুহল থাকে আকাশ ছোঁয়া। কারণ আমজনতার পকেটের টানাটানি জড়িয়ে রয়েছে সাধারণ বাজেটের উপর। বাজেটে কোন জিনিসের দাম বাড়ানো হতে পারে, কোন জিনিসের দাম কমানো হতে পারে এনিয়ে ইতিমধ্যেই কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। তবে সেই সকল কাটাছেঁড়ার মাঝেও কয়েকটি জিনিস না জানলেই নয়।

১) অনেক অর্থ বর্ষে সরকারের ব্যয় আয়ের থেকে বেশি হয়ে থাকে। এমন পরিস্থিতিকে ফিসক্যাল ঘাটতি বলা হয়। মোট কত টাকা ধার করতে হবে সরকারকে তা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে এই ফিসক্যাল ঘাটতির মাধ্যমে।

২) রাজস্ব ঘাটতি দেখা যায় সেই সময় যখন সরকারের দৈনন্দিন কাজের ব্যয়, মোট আয়ের তুলনায় পার্থক্য হলে। এই রাজস্ব ঘাটতি হলে সরকারকে ঋণ নিতে হয়।

৩) সরকারের আয়ের উৎস হল কর। দেশের আমজনতার আয়, মুনাফা এবং পণ্য ও পরিষেবার ব্যবহারের উপর কর থেকে সরকার কর্তৃক সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ কর বলা হয়। এর মধ্যে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ দুই ধরনের কর থাকে।

৪) প্রত্যক্ষ কর আরোপ করা হয় আমজনতার আয় এবং ব্যবসার উপর আরোপ করা কর। যেমন আয়কর, কর্পোরেট কর, সম্পত্তি কর এবং উত্তরাধিকার কর।

৫) পরোক্ষ কর হল পণ্য অথবা পরিষেবার উপর থেকে আদায় করা কর। যেমন জিএসটি, শুল্ক ও কেন্দ্রীয় আবগারি ইত্যাদি, যেগুলি সরাসরি আদায় করা হয় না।

৬) দেশের কোন ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে মোট উৎপাদন মূল্যের যোগফলকে বলা হয় জিডিপি।

৭) মূল্যবৃদ্ধি সেই সময় হয়ে থাকে যখন পণ্য বা পরিষেবার সামগ্রিক ব্যয় বাড়ে।

৮) দেশে বা দেশের বাইরে পণ্য আমদানি অথবা রপ্তানির ক্ষেত্রে যে পরোক্ষ কর আরোপ করা হয় তাকে বলে শুল্ক।

৯) সরকার লক্ষ্য রাখে আয় ও ব্যয়ের সামঞ্জস্য যাতে থাকে। আয় ও ব্যয়ের সমঞ্জস্য রাখাকে বলা হয় ফিসক্যাল নীতি।

১০) কনসলিডেটেড ফান্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্ট থেকেই কোন অর্থ বর্ষে সরকারের আয় ও ব্যয়ের যোগ বিয়োগ করা হয়। বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে এই অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ খরচ করা হয় না।