ব্যবসা ছেড়ে অনুব্রতর CA, কে এই মণীশ কোঠারি, কীভাবে এলেন ইডির হাতে

নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখন দিল্লিতে। তিনি আপাতত ইডি হেফাজতে রয়েছেন। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন তার ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিরা রয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের নজরে। ইতিমধ্যেই এই পাচার কাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তার হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি (Manish Kothari)।

অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করার পর সিবিআই আধিকারিকরা একাধিকবার মনীশ কোঠারির বাড়ি এবং অফিসে থানা দিয়েছিল। তবে সে যাত্রায় বারবার রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দিল্লিতে ইডি আধিকারিকদের তলবে শেষবার হাজিরা দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মুখোমুখি হতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রেফতার হওয়ার পর রীতিমত অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এমনকি বুধবার সুকন্যা মন্ডলের হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা এড়িয়ে যান।

তবে মণীশ কোঠারি গ্রেপ্তার হওয়ার পর বহু মানুষের মধ্যেই প্রশ্ন, কিভাবে তিনি হয়ে উঠলেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক? কিভাবে তিনি এমন একজন দাপুটে নেতার বিশ্বস্ত ব্যক্তি হয়ে উঠলেন? জানা যাচ্ছে, মণীশ কোঠারি বোলপুরের এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। জানা যাচ্ছে বোলপুরের কোঠারি ব্রাদার্স স্টেশনারি দোকান নাকি তাদেরই। মণীশ কোঠারির প্রথম জীবন শুরু হয় তার বাবার হাত ধরে ব্যবসার মধ্য দিয়ে।

তবে ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোনদিন মন ছিল না মণীশ কোঠারির। যে কারণে ব্যবসা ছেড়ে দাদার হাত ধরে বোলপুরের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাকাউন্টেন্ট বিদ্যুৎ মজুমদারের কাছে জুনিয়র হিসাবে কাজ শুরু করেন। এরপর ২০১১ সালে তৃণমূল সরকারে আসার পর তার মাথার উপর হাত পড়ে অনুব্রত মণ্ডলের। তিনিই জুনিয়র অ্যাকাউন্টেন্ট থেকে হয়ে ওঠেন অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টেন্ট।

অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক ছাড়াও তিনি হিসাব রাখার দায়িত্ব পান সুকন্যা মণ্ডল ও তার সংস্থা ANM এগ্রো ফুড প্রাইভেট লিমিটেড, NRG ডেভেলপমেন্ট ও ভোলে বোম রাইস মিল সহ একাধিক সংস্থার। পাশাপাশি বীরভূমের বিভিন্ন বড় বড় ব্যবসায়ীদের লেনদেনর হিসাব রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরু দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১৭ সাল থেকে তার প্রতিপত্তির পাশাপাশি সম্পত্তিও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে লাফিয়ে লাফিয়ে।