ধাপে ধাপে কীভাবে বদলে গেল মেট্রো টিকিট, ৯০ শতাংশ মানুষই জানেন না

আরও আধুনিক হচ্ছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। শিয়ালদা (Sealdah) থেকে সেক্টর ফাইভ (Sector V) পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হল কিউ আর কোড পরিষেবা। এবার থেকে বাড়িতে বসেই কাটা যাবে টিকিট। দক্ষিণেশ্বর থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত ব্লু লাইনেও কিউ আর কোড পরিষেবা দ্রুত চালু হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কলকাতা মেট্রো রেলের (Kolkata Metro) এই নিয়ে প্রায় পাঁচ ধরনের ‘টিকেটিং সিস্টেম’-এর বিবর্তন দেখল শহরবাসী।

হাতে সময় কম। গন্তব্যে পৌঁছনোর তাড়া রয়েছে। কিন্তু উপায় নেই। মেট্রো স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইন। কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) চেনা দুর্ভোগের ছবিটা এবার পাল্টাতে চলেছে। সঙ্গে একটা স্মার্ট ফোন থাকলেই কেল্লা ফতে। এবার কুইক রেসপন্স কোড বা কিউ আর কোড স্ক্যান করেই উঠে পড়া যাবে মেট্রোয়।

মেট্রো রেল (Kolkata Metro) সূত্রে খবর, এবার থেকে বাড়িতে বসেই কেটে ফেলা যাবে মেট্রোর (Kolkata Metro) টিকিট। তবে তার আগে মেট্রো রাইড কলকাতা অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। সেখানে লিখতে হবে, কোন স্টেশন থেকে কোথায় যেতে চান। এরপর অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে মিলবে কিউ আর কোড। ঢোকার সময় মেট্রোর গেটে রিডারে কিউ আর কোড ছোঁয়ালেই খুলে যাবে দরজা।

১৯৮৪-তে কলকাতায় চালু হয় মেট্রো পরিষেবা। সেই সময় ছিল প্রিন্টেড টিকিট। এরপর ৯৬ সাল থেকে ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ দেওয়া টিকিট চালু হয়। ২০১১-য় রাজ্যে পরিবর্তনের বছর থেকে মেট্রোয় শুরু হয় টোকেন ও স্মার্ট কার্ড পরিষেবা। ২০২২ থেকে এসে গিয়েছে মেট্রো রেল অ্যাপ। ৩৯ বছর ধরে কলকাতার বুকে চলছে মেট্রো। এত বছরে টিকিট কাটার পদ্ধতিতে নানা বদলও এসেছে। এবার সেই বদলই প্রদর্শনীর মাধ্যমে শহরবাসীর কাছে তুলে ধরবে কলকাতা মেট্রো রেল (Kolkata Metro)।

দেশের অন্য কোনও মেট্রোয় (Kolkata Metro) টিকিটের এত বিবর্তন হয়নি। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,কিউ আর কোড পরিষেবার পাশাপাশি, টোকেন ও স্মার্ট কার্ড পরিষেবাও চালু থাকবে। দক্ষিণেশ্বর থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনের গেটে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের কাজ শেষ হলেই, মাসখানেকের মধ্যে ব্লু লাইনেও কিউ আর কোড টিকিট পরিষেবা চালু হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।