ট্রেনে চড়ে সোজা হাওড়া থেকে কাশ্মীর, কবে চালু হবে জানালেন রেলমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : দূর দূরান্ত হোক অথবা কাছে কোথাও, যাতায়াতের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষ ট্রেনের (Train) উপর নির্ভরশীল। ট্রেনে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে যেমন ভাড়া কম গুনতে হয়, ঠিক সেই রকমই আবার যাতায়াতের ক্ষেত্রে রয়েছে স্বাচ্ছন্দ। এসবের কারণেই অধিকাংশ যাত্রী ট্রেন কেই বেছে নেন তাদের যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে। এসবের কারণেই ভারতীয় রেল (Indian Railways) ভারতীয় নাগরিকদের কাছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড।

তবে এখনো পর্যন্ত দেশের অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে সঠিকভাবে রেল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। মূলত বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে রেল পরিষেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। আবার রেলের তরফ থেকে সেই সকল জায়গায় দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চালাচ্ছে। সেই রকমই একটি জায়গা হল ভূস্বর্গ কাশ্মীর।

কাশ্মীরের সঙ্গে দেশের অন্যান্য জায়গার সুনিবিড় যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য ভারতীয় রেলের তরফ থেকে তৈরি করা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু চেনাব ব্রিজ (Chenab Bridge)। এই ব্রিজটির মোট দৈর্ঘ্য ৩৫৯ মিটার আর উচ্চতায় প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের থেকে ১০০ মিটার উঁচু। এখানে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে এবং খুব তাড়াতাড়ি এই চেনাব ব্রিজের উদ্বোধন হয়ে যাবে।

চেনাব ব্রীজের পুজো করে রবিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, জম্মু-কাশ্মীরের এই নতুন রেল নেটওয়ার্ককে খুব তাড়াতাড়ি ছুটতে শুরু করবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) এবং বন্দে মেট্রো (Vande Metro)। উধমপুর-শ্রীগনগর – বারামুল্লা রেল সংযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হয়ে গেলেই শুরু হয়ে যাবে রেল পরিষেবা।

চলতি বছর ডিসেম্বর মাস অথবা আগামী বছর জানুয়ারি মাসে এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এখানে ট্রেন ছুটতে আরম্ভ করবে। এখানে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছুটবে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে। জম্মু বা কাটরা থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যাবে শ্রীনগরে। এর পাশাপাশি আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কলকাতা থেকে সরাসরি কাশ্মীর রেল পরিষেবায় জুড়ে যাবে।