লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নিয়মে বড় বদল, না জানলে পস্তাতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সকল প্রকল্প চালু করেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার। এই প্রকল্পর রাজ্যের মহিলাদের জন্য এবং এই প্রকল্প এতটাই সাড়া ফেলে দেয় যে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তৃণমূল সরকারের প্রত্যাবর্তনের অন্যতম কারণ হলো এই প্রকল্প।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের মাসে মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়ে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রকল্পে একাধিকবার নানান পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার এই প্রকল্পে বড় একটি পরিবর্তন আনা হলো এবং সেই পরিবর্তন না জানলে পস্তাতে হবে।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, দুয়ারে সরকার যে সকল ক্যাম্প হচ্ছে সেই সকল ক্যাম্পে যারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে আসছেন তাদের অনেকের কাছে আধার কার্ড অথবা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকছে না। এই দুটি কার্ড না থাকার কারণে অনেকেই এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল এই দুটি কার্ড না থাকলেও এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবেন না রাজ্যের মহিলারা।

এমন অসুবিধার কথা মাথায় রেখে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, যদি কোন মহিলার কাছে আধার কার্ড অথবা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকে তাহলে তারাও এই প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। আধার কার্ড অথবা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকলে কোন প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া যুক্তিযুক্ত নয় বলে জানানো হয়েছে।

রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের একবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে তুরূপের তাস করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।