আর চলবে না পুলিশের ফাঁকিবাজি! ডিউটি নিয়ে নয়া নির্দেশ লাল বাজারের

নিজস্ব প্রতিবেদন : পুলিশি ব্যবস্থা হল এমন একটি ব্যবস্থা যার উপর নির্ভর করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে নেতা মন্ত্রীদের রাজ্য পুলিশের (Police) প্রশংসা করতে দেখা যায় হামেশাই। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) সব সময় পুলিশকে আরও সহনশীল হতে পরামর্শ দেন। তবে এরপরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের খামতি ধরা পড়ে। এবার সেই সকল খামতি দূর করতে লালবাজারে (Lalbazar) তরফ থেকে নতুন নির্দেশ দেওয়া হল।

কোন অনুষ্ঠান অথবা জমায়েতের ক্ষেত্রে পুলিশকর্মীদের ডিউটি পড়লে দেখা যায় তারা সরাসরি সেখানে হাজির হন। তবে এবার সেই চিরাচরিত রেওয়াজ বন্ধ করতে চাইছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। এই নিয়ে গত সপ্তাহে লালবাজারে তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে এবং সেই নির্দেশিকায় বেশ কিছু নিয়মাবলির পরিবর্তন করা হয়েছে। একটি সর্বভারতীয় বাংলা সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, কোথাও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে তা নিয়ে আগাম আশঙ্কা থাকলে সেখানে পুলিশ নিয়োগ করা হয়। কিন্তু বহুক্ষেত্রেই দেখা যায় পুলিশ কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো স্পটে চলে যান। কিন্তু এবার তা হবে না। এবার এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে স্পটে যাওয়ার অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট আগে ইউনিটের সদর দপ্তরে রিপোর্ট করতে হবে।

ইউনিটের সদর দপ্তরের রিপোর্ট করার পর গাড়ি চড়ে পুলিশ কর্মীদের যেতে হবে নির্দিষ্ট স্পটে। আবার ডিউটি শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পট থেকে বাড়ি চলে গেলাম তাও আর হবে না। নির্দেশিকা অনুসারে ডিউটি শেষ করার পর আবার ইউনিটের সদর দপ্তরে পুলিশ কর্মীদের আসতে হবে এবং সেখান থেকে বাড়ি যেতে পারবেন।

এর পাশাপাশি নির্দেশিকাই বলা হয়েছে, ডিউটি যাওয়ার সময় পুলিশ কর্মীরা আর আলাদা করে ব্যাগ বা অন্য কিছু নিয়ে যেতে পারবেন না। কলকাতা পুলিশ এতটাই উন্নত যে তাকে স্কটল্যান্ড পুলিশের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এবার এই উন্নত মানের পুলিশ কর্মীদের আরও শৃংখল করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, পুলিশ কর্মীদের একাংশের মধ্যে গাছাড়া মনোভাব লক্ষ্য করা যায় আর সেই গাছাড়া মনোভাব অর্থাৎ ফাঁকিবাজি ঠেকানোর জন্যই এমন নির্দেশিকা।