ব্রেকিং : চাঁদের মাটিতে অক্ষত বিক্রম, জানালো ইসরো দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশবাসীদের জন্য আবারও সুখবর। চাঁদের মাটিতে প্রায় ৩৬ ঘন্টা পর রবিবার খোঁজ মিলেছে বিক্রমের। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ঠিক কোন জায়গায় নেমেছে বিক্রম, চাঁদের কক্ষপথে থাকা অরবিটার তা জানতে পেরেছে।

রবিবার এই সুসংবাদ দিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ কে শিবন জানিয়েছিলেন, শুধু জানতে পারায় নয়, এমনকি অরবিটার ছবিও তুলে ফেলেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখা বিক্রমের। সেই সব ছবি অরবিটার ইসরোর গ্রাউন্ড কন্ট্রোল রুমে পাঠিয়ে দিয়েছে।

রবিবার তিনি আরও জানান, “এখনো পর্যন্ত বিক্রমের থেকে কোন রেডিও সিগন্যাল পৌঁছায়নি অরবিটারের কাছে। কিন্তু সে কোথায় নেমেছে তার খবর পাওয়া গিয়েছে। এখন আশা খুব শীঘ্রই বিক্রমের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।”

৭ই সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে রাত্রি দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে চাঁদের মাটিতে নামার কথা অনুযায়ী ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যায় রাত্রি ১:৩৮ মিনিটে। বিক্রমের গতিবেগ সেকেন্ডে ১.৮ কিলোমিটার থেকে নামিয়ে আনা হয় ০ তে। তারপর শুরু হয় হার্ড ব্রেকিং প্রক্রিয়া। হার্ড ব্রেকিং প্রক্রিয়া নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর শুরু হয় ফাইন ব্রেকিং পর্ব। আর এই পর্ব শুরু হতেই দেখা দেয় বিপর্যয়। এই পর্যায়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিক্রমের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর।

রাত্রি ২:২০ নাগাদ সেই বিষাদঘন দুঃসংবাদ প্রকাশ করেন কে শিবন। তিনি জানান, “বিক্রমের অবতরণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক চলছিল। তারপর হঠাৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যানটির সাথে। বিক্রমের সাথে যোগাযোগ যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।”

এরপর রবিবার ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ কে শিবন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘চাঁদের মাটিতে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বিক্রমের। অরবিটার বিক্রমের থার্মাল ইমেজ পাঠিয়েছে। তবে কোনও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি যোগাযোগ স্থাপন করতে।’’

আর আজ সোমবার আরো বড় সুখবর দেশবাসীদের জন্য। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরোর আধিকারিক জানিয়েছেন, চাঁদের বুকে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে বিক্রম। চাঁদের বুকে হার্ড ল্যান্ডিং করেছে ল্যান্ডার বিক্রম। তবে বিশেষ কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যদিও হার্ড ল্যান্ডিংয়ের সময় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে তা হয়নি। অরবিটারের পাঠানো ছবি অনুযায়ী মূল অংশেই রয়েছে বিক্রম। তবে এখনো বিক্রমের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ইসরোর বিজ্ঞানীরা তার সাথে যোগাযোগ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।