শেষ মুহূর্তে হারিয়ে গেছে বিক্রম, খুঁজতে মরিয়া ইসরোর বিজ্ঞানীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : যখন প্রায় গোটা দেশ মাঝরাতেও তাকিয়েছিল চন্দ্র অভিযানের দিকে, যে বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে ইসরোর দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেই বিক্রম চন্দ্র কক্ষের ৯৫ শতাংশ ঘুরে দেখেও শেষ মুহূর্তে হারিয়ে যায়। চন্দ্রপৃষ্ঠে থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার আগে বিক্রমের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ইসরোর। তারপর থেকেই চলছে মরিয়া চেষ্টা পুনরায় যোগাযোগ স্থাপনের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্রমের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।

পরিকল্পনা মতো শনিবার রাত্রি ১:৩৮ মিনিটে ল্যান্ডার বিক্রমকে চাঁদে অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিক্রমের গতিবেগ সেকেন্ডে ১.৮ কিলোমিটার থেকে নামিয়ে আনা হয় ০ তে। তারপর শুরু হয় হার্ড ব্রেকিং কাউন্টডাউন। হার্ড ব্রেকিং প্রক্রিয়া নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর শুরু হয় ফাইন ব্রেকিং পর্ব। আর এই পর্ব শুরু হতেই দেখা দেয় বিপর্যয়। এই পর্যায়েয় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিক্রমের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর।

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরে হতাশ হয়ে পড়েন ইসরোর বিজ্ঞানী এবং কর্মীরা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবনের কাছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তারপর রাত্রি ২:২০ নাগাদ সেই বিষাদঘন দুঃসংবাদ প্রকাশ করেন কে শিবন। তিনি জানান, “বিক্রমের অবতরণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক চলছিল। তারপর হঠাৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যানটির সাথে। বিক্রমের সাথে যোগাযোগ যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।”

তবে এই চন্দ্র অভিযানে সফলতা না মিললেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দেশের নেটিজেনরা উৎসাহ দিতে ভুলে যাননি ইসরোর বিজ্ঞানীদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “এখন সাফল্য অধরা থাকলেও আপনারা যেটা করেছেন সেটা কম কি? আমি আপনাদের সাথে আছি, হাল ছাড়বেন না। আপনাদের পরিশ্রমেই আবার আনন্দে মাতবে গোটা দেশ, আনন্দে মাততে দেশবাসীরা।” নেটিজেনদের অনেকেই টুইট করে লিখেছেন, “আমরা ৯৫% সফলতা অর্জন করেছি, আর এই সাফল্যের জন্য কৃতিত্বের দাবিদার ভারতের বিজ্ঞানীরা। গোটা দেশ আপনাদের সাথে আছে।”