একুশকে সামনে রেখে তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে ব্যাপক রদবদল, রইলো পূর্ণাঙ্গ তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে শক্ত ঘাঁটি গড়েছে পদ্ম শিবির। ইতিমধ্যেই ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন তারা ছিনিয়ে নিয়েছে। আর এরপর পদ্ম শিবিরের নেতারা আগামী বিধানসভায় তৃণমূলকে পরাস্ত করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা রাজ্যের শাসনভার দখল করবে বলে দাবী তুলছেন। যে কারণে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক স্তরকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিল শাসক দল। প্রত্যাশামতোই শাসক শিবিরের সাংগঠনিক স্তরে ব্যাপক রদবদল ঘটলো। আর এই রদবদলের পাশাপাশি মাওবাদী সন্দেহে দীর্ঘকাল জেলবন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েই সরাসরি তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে স্থান পেলেন ছত্রধর মাহাতো।

তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে ছত্রধর মাহাতোর সরাসরি সংযোজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে এর পাশাপাশি বেশ কিছু নবীন মুখে দেখা গিয়েছে এদিনের সাংগঠনিক স্তর বিন্যাসে। ছত্রধর মাহাতো ছাড়াও রাজ্য কমিটিতে নতুন মুখ হিসেবে স্থান পেলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুকুমার হাঁসদা, চূড়ামণি মাহাতো।

সাংগঠনিক স্তরে রদবদলের ক্ষেত্রে রাজ্যের তিনটি জেলা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। পরিবর্তে সে জায়গায় এলেন গুরুপদ টুডু। হাওড়়ার জেলা (শহর) সভাপতি পদ থেকে সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়কে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে উত্তর হাওড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লকে। নদিয়া জেলার সভাপতি পদে গৌরীশঙ্কর দত্তকে সরিয়ে আনা হলো মহুয়া মৈত্রকে। কোচবিহার জেলা সভাপতি পদে বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে সরিয়ে আনা হল প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে। পুরুলিয়ার পাশাপাশি বাঁকুড়ার জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যালের জায়গায় করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাকে। ঝাড়গ্রামের জেলা সভাপতি পদ থেকে বীরবাহা সোরেনকে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হলো দুলাল মুর্মুকে। যদিও বীরবাহাকে ঝাড়গ্রামের চেয়ারম্যান করা হলো। উত্তরবঙ্গের দিনাজপুরের জেলা সভাপতি পদ থেকে অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হলো গৌতম দাসকে।

তালিকা

এর পাশাপাশি এদিন তৃণমূল যুব সংগঠনের ক্ষেত্রেও বেশকিছু রদবদল করা হয়। তৃণমূল যুব সংগঠনের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই রদবদল ঘটিয়েছেন। যেখানেই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বীরভূমের যুব সভাপতি বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়িকে সরিয়ে আনা হয়েছে বিধানচন্দ্র মাঝিকে। এছাড়াও সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শান্তা ছেত্রিকে নিয়ে একটি সাতজনের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে।