লোবা কয়লা খনি নিয়ে সরাসরি বৈঠকের প্রস্তুতি ডিভিসির, বৈঠকের স্থান পরিবর্তনের আর্জি কৃষি জমি রক্ষা কমিটির

লাল্টু : সিউড়ির প্রশাসন ভবনে লোবার জমিহারাদের পুনর্বাসনের প্যাকেজ নিয়ে শেষ বৈঠকে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের তরফে প্যাকেজ প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাবে স্বাভাবিকভাবেই ‘না’ জানিয়ে দিয়েছেন লোবাবাসীরা। পাশাপাশি সেদিনের বৈঠকে অন্যান্য শর্তপূরনের ক্ষেত্রেও ডিভিসি রেখে দেয় নানান ধোঁয়াশা। এমনই অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লোবার কয়লা শিল্পের জন্য জমি দেওয়া অসংখ্য মানুষ। যার পরেই টালবাহানা শুরু হয় জয়দেব-খাগড়া খোলামুখ কয়লা খনি প্রকল্পের পুনর্বাসন নিয়ে।

এরপরও আবার গত ৬ই নভেম্বর লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটি তাদের ধিক্কার দিবসে জমি নিয়ে কড়া বার্তা দেয়। লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটির ধিক্কার দিবসে তাদের জমি নিয়ে কড়া মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটির প্রতিনিধিদের যা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় তাতে স্পষ্ট এই পুনর্বাসন প্যাকেজ কোনোভাবেই মানবেন না তারা। তাদের দাবি, ঠান্ডা ঘরে বৈঠকে বসে এই সমস্যা মিটবে না। ডিভিসি-কে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে পুনর্বাসন প্যাকেজ স্থির করতে হবে।

লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির অনড় মনোভাবের পর ডিভিসি কর্তৃপক্ষ সরাসরি গ্রামবাসীদের সাথে একটি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম দফায় এই বৈঠক হয় এ মাসের ১৩ ই নভেম্বর, কিন্তু তা পরে পরিবর্তিত হয়ে করা হয় ২২ শে নভেম্বর। স্থান হিসাবে বেছে নেওয়া হয় লোবা কালি মন্দির। কিন্তু লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির দাবি কালীমন্দিরে নয়, বৈঠকস্থল হিসাবে বেছে নেওয়া হোক বা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির ধর্না মঞ্চে। এ বিষয়ে তারা আজ দুবরাজপুর বিডিও অফিসে একটি লিখিত আবেদন জানান।

ধর্ণা মঞ্চে বৈঠক করার স্বপক্ষে লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সভাপতি ফেলারাম মন্ডল এবং সেক্রেটারি জয়দীপ মজুমদার জানান, “চাষিরা চাইছেন আমাদের ধর্ণা মঞ্চেই এই বৈঠক করার জন্য। কারণ এই ধরনা মঞ্চ হলো নিরপেক্ষ জায়গা। তারা নিজেদের দাবি দাওয়া কোনো রকম রাজনৈতিক চাপ ছাড়াই জানাতে পারবেন। তাদের ইচ্ছামতো আজ আমরা বিডিও অফিসে আবেদন জমা দিতে এসেছি।”