লোবার খোলামুখ কয়লাখনি নিয়ে ফের জট

লাল্টু : বহু চর্চিত বীরভূমের লোবার খোলামুখ কয়লাখনি নিয়ে কিছুতেই জট খুলতে পারছে না জেলা প্রশাসনের কর্তারা। একের পর এক জট লেগেই থাকছে। প্রথমে বেঙ্গল এমটা এই কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ হাতে লাগালেও পুর্নবাসনের ক্ষেত্রে তারা চটজলদি সিদ্ধান্ত নিয়ে জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে জমির মালিক থেকে শুরু করে পুলিশের সাথে বিবাদ বাঁধে। যা পরে রক্তক্ষয়ী অন্দোলনের রূপ নেয়।তারপর অজয় নদের জল বহুদূর গড়িয়ে গেছে।

গত বছর থেকে এই লোবার খোলামুখ কয়লাখনি নিয়ে ফের তোড়জোড় শুরু করে রাজ্য সরকার। দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিভিসিকে। ডিভিসি কর্তৃপক্ষ সরাসরি মাঠে নেমে কাজ করে। তার সাথে চলে জেলা প্রশাসন, জমির সাথে যুক্ত ব্যক্তি সহ লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির কর্তাদের সাথে বৈঠক। চলে মাঠখসড়া। পরে আলোচনার ভিত্তিতে পুর্নবাসনের কথাও শুরু হয়। কিন্তু তা মনোমত না হওয়ায় সেই আলোচনার পর তা ভেস্তে যায়। কিন্তু শেষমেশ ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে জানান তারা ত্রিপাক্ষিক মিটিং করতে রাজি এবং তারা সরাসরি জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি কিনবে।

কিন্তু এক অজ্ঞাত কারনে সেই মিটিং ভেস্তে যায়। পরে দুবরাজপুরের বিডিও জানান, আগামী ২২শে নভেম্বর মিটিং হবে আশ্রম মাঠে। কিন্তু বিডিওর ঘোষণার পরই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। বৈঠক শেষে লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক জয়দীপ মজুমদার জানান, ‘চাষের সময়। চাষের সাথে ব্যক্তিরা কিছুতেই তারা চাষাবাদ ছেড়ে দিয়ে আশ্রম মাঠে যেতে পারবেন না। কারণ তারা প্রত্যেকেই কৃষির সাথে যুক্ত। যদি ত্রিপাক্ষিক মিটিং করতেই হয় তাহলে লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির ধর্না মঞ্চে এসে করতে হবে। না হলে পরে মিটিং করতে হবে।’

যদিও এই মিটিংটি হওয়ার কথা ছিল লোবা কালি মন্দির সাংস্কৃতিক মঞ্চে। কিন্তু সেই জায়গায় লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটি বৈঠকে নারাজ হয়ে স্থান পরিবর্তনের লিখিতভাবে আর্জি জানায় দুবরাজপুর বিডিওকে। তারপরেই নতুন করে আজ আশ্রম মাঠ বৈঠকের জন্য বেছে নেওয়া হয়। এমনকি লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় এনিয়ে প্রশাসনের তরফে মাইকিং করাও শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যা! ফলে লোবার খোলামুখ কয়লাখনি নিয়ে আগামীদিনে কি তার ভবিষ্যৎ তা ভবিষ্যৎই বলবে!