বিশ বাঁও জলে লোকাল ট্রেন চালুর পরিকল্পনা, যা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : পুনরায় লোকাল ট্রেন চালু করার দাবিতে ইতিমধ্যেই এক জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মূলত যাতায়াত এবং এই লোকাল ট্রেনের সাথে রুজি-রোজগার জুড়ে থাকায় পুনরায় এই লোকাল ট্রেন চালু করার দাবি তোলেন তারা। তবে লোকাল ট্রেনের পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ দেখানো হলেও তা পুনরায় এখনই চালু হচ্ছে না তা এক প্রকার স্পষ্ট হয়ে গেল বৃহস্পতিবার। আপাতত তা বিশ বাঁও জলে।

লোকাল ট্রেন পুনরায় চালু করা সংক্রান্ত বিষয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্নে এদিন বৈঠক করার সময় বলেন, “করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ট্রেন চলাচল শুরু করলেই তা আবার ছড়িয়ে পড়বে। এছাড়া রাজ্যে অন্যান্য পরিবহণ তো সীমিত সংখ্যায় চলছেই। অনেক শিথিল করা হয়েছে সব কিছু।” আর এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট আগামী ৩০ তারিখের পর কঠোর বিধিনিষেধ আরও শিথিল করা হলেও লোকাল ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু নাও হতে পারে।

সম্প্রতি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর রাজ্য সরকার একাধিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা এবং বাস। অন্যদিকে অফিস এবং অন্যান্য কর্মক্ষেত্র ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করাই স্বাভাবিক ভাবেই গণপরিবহনের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে রেলের তরফ থেকে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে জরুরী পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীদের চাপার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই অনুমোদন প্রতিনিয়ত ভিড় বাড়ছে এই সকল ট্রেনে।

এই পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিকবার রেলের তরফের রাজ্য সরকারের কাছে পুনরায় লোকাল ট্রেন চালু করার জন্য অনুমোদন চাইতে আবেদন করা হয়। কিন্তু পুনরায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও সেই রেলের আবেদন খারিজ করে দিলেন। হলে আগামী মাসেও লোকাল ট্রেন চালু হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে।