লাল্টু : গতকাল বীরভূমের লোকপুর থানার অন্তর্গত রুপুসপুর গ্রামের সৌভিক গড়াই নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক আত্মহত্যা করে মারা যান। আত্মহত্যার সময় সে উল্লেখ করে যাই, ‘আমি চুরি করিনি, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ যে ঘটনায় পরিবারের লোকজন লোকপুর থানার ওসি এবং আরও এক অফিসারের বিরুদ্ধে বিনা তদন্তে সৌভিককে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া এবং আটকে রাখা ও পরে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার জানা যায় লোকপুর থানার ওসি রমেশ সাহাকে ক্লোজ এবং আরও এক সেকেন্ড অফিসার শরৎ ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
গতকালকের ঘটনার পর বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন। আর সেই তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। পাশাপাশি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিবু রায় এবং তার ভাইপো কাজল রায়কে পুলিশ গ্রেফতার করে বুধবার দুবরাজপুর আদালতে তোলে।
সৌভিকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সৌভিক গুজরাতে শ্রমিকের কাজ করতো। দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সময় লকডাউন জারি হওয়ার আগেই সে গুজরাত থেকে গ্রামে ফিরে আসে। এরপর সে গ্রামেই ছিল। ঘটনাক্রমে রবিবার শিবু রায় এবং কাজল রায় লোকপুর থানায় তাদের মিষ্টির দোকানে নগদ টাকা চুরি হওয়ার বিষয়ে সৌভিকের নামে লোকপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লোকপুর থানার পুলিশ রবিবার সৌভিক গড়াইকে গ্রেপ্তার করে। এরপর কোনরকম প্রমাণ না পেয়ে সোমবার সৌভিককে বিনাশর্তে ছেড়ে দেয় পুলিশ বলে জানা গিয়েছে। তারপরেই মঙ্গলবার সকালে নিজের ঘর থেকে সৌভিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পাশাপাশি সুইসাইড নোটে দেখা যায় লেখা রয়েছে, “আমি চুরি করি নাই, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। শিবু রায় ও সজল রায়ের শাস্তি চাই।”