ফের ঊর্ধ্বমুখী রান্নার গ্যাসের দাম, জেলাভিত্তিক সিলিন্ডার পিছু নতুন দাম

নিজস্ব প্রতিবেদন : আলু ৩০-৩৫ টাকা কিলো, লঙ্কা ৩০০ টাকা কিলো, টমেটো ১০০ টাকা কিলো, বাকি সব শাক-সবজির কথা বাদই দিলাম। প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে নাভিশ্বাস অবস্থা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির। একদিকে যখন লকডাউনের কারণে ভাঁড়ারে টান পড়ছে, ঠিক তখন এইভাবে দিনের পর দিন মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের সংসার চালানোর ক্ষেত্রে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে একদিকে যেমন বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম, ঠিক অন্যদিকে ঊর্ধ্বমুখী রান্নার গ্যাসের দামও। এই নিয়ে টানা তিন মাস রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির লক্ষ্য করা গেল। যদিও এ মাসে রেহাই যে, সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম বাড়লেও তা ন্যূনতম। তবে বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে চেয়েছিল এই সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমিয়ে আমজনতাকে সুষ্ঠু জীবনযাপনে সহযোগিতা করা।

চলতি মাসে অর্থাৎ আগস্ট মাসে কলকাতায় ১৪.২ কেজি ওজনের সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে ৫০ পয়সা। জুলাই মাসে কলকাতায় ভর্তুকিহীন রান্নার গ‍্যাসের দাম ছিল ৬২০ টাকা ৫০ পয়সা। তা ৫০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৬২১ টাকা। ১লা আগস্ট, শনিবার থেকে নয়া দাম কার্যকর হবে। কলকাতায় ১৯ কিলো নন-ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের দাম ১ টাকা বেড়ে হয়েছে ১১৯৮ টাকা ৫০ পয়সা। তবে আগস্ট মাসে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়নি এই ১৪.২ কিলো ওজনের রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে গৃহস্থরা কত টাকা ভর্তুকি হিসাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাবেন। কারণ দেখা গেছে গত তিন মাস গ্রাহকদের কোনরকম ভর্তুকি দেওয়া হয়নি সরকারের তরফ থেকে।

দেশের বিভিন্ন শহরে সিলিন্ডার পিছু নতুন দাম

জুন মাসে দেশজুড়ে ১৪.২ কিলো এলপিজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল স্থানবিশেষে ৩০ টাকার বেশি। সেবার কলকাতায় দাম বেড়েছিল সিলিন্ডার প্রতি ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। এরপর জুলাই মাসে কলকাতায় সিলিন্ডার প্রতি দাম বেড়েছিল ৪ টাকা ৫০ পয়সা। আর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আগস্ট মাসে দাম বাড়লো। তবে এ মাসে মূল্যবৃদ্ধি তেমনটা না হলেও (৫০ পয়সা) মধ্যবিত্তের জন্য মোটেই স্বস্তিদায়ক ইঙ্গিত নয় বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

পশ্চিমবঙ্গে জেলাভিত্তিক সিলিন্ডার পিছু নতুন দাম

বর্তমানে প্রতি মাসের শুরুতেই রান্নার গ্যাসের দাম ঠিক করে তেল সংস্থাগুলি। আর সেই দাম চলতে থাকে সারা মাস ধরে। ইউপিএ সরকার ২০১০ সালের জুন মাসে পেট্রলের দাম সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করেছিল। একইভাবে বিজেপি সরকার ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে ডিজেলের দাম নির্ধারণের ভার বাজারের উপরে ছেড়ে দেয়। তারপর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠা পড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তেল সংস্থাগুলি প্রতিদিনের দাম ঠিক করে। এই দাম ওঠা পড়ার উপরে কেন্দ্র সরকারের কোনও প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ নেই বলেই দাবি করা হয়।