ভারতীয় ক্রিকেটের আশ্চর্য ১৮৩, একনজরে তিন অধিনায়কের সর্বোচ্চ স্কোর

নিজস্ব প্রতিবেদন : নব্বইয়ের দশকের পর ভারতীয় ক্রিকেটকে যারা বদলে দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে প্রথমেই নাম আসে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও মহেন্দ্র সিং ধোনির। আগ্ৰাসী জয়ের জন্য সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করার মানসিকতার আমদানি হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটে এদের হাত ধরেই।

অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের মতো দাপুটে দলগুলির সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই শুরু হয় এই আমল থেকেই। আগ্ৰাসী ভারতীয় ক্রিকেটের সেই ধারা এখন বয়ে চলেছে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে।

এই তিন ক্রিকেটারের জীবন বদলে দিয়েছিল জাতীয় দলের হয়ে খেলা ওয়ান ডে ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোর। কাকতালীয় ভাবে এই তিন ক্রিকেটারই পেয়েছিলেন ভারতের জাতীয় দলের অধিনায়কের পদ।‌অধিনায়ক হয়ে এই তিনজনই ভারতীয় ক্রিকেটের গতিমুখ বদলে দেন। বিশ্ব ক্রিকেটে ভারত টেস্ট, ওয়ান ডে ও টি-টয়েন্টিতে বিশ্বের অন্য দলগুলিকে টপকে এক নম্বরে চলে আসে।

যে তিনটে ম্যাচ এই ক্রিকেটারদের ভাগ্য বদলে দিয়েছিল সেগুলি হল ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ম্যাচ। শুরুটা ভারতের ভালো ছিল না। সৌরভ গাঙ্গুলি ও দ্রাবিড়ের জুটিতে ওঠে ৩১৮ রান। সৌরভ গাঙ্গুলি ১১৫.৮২-এর স্ট্রাইক রেটে ১৫৮ বল খেলে ১৮৩ রান করেন। সৌরভ ১৭টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। ভারত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৭৩ রান করে। এরপর শ্রীলঙ্কা ব্যাট করতে নেমে ২১৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। এই ম্যাচের পরই সৌরভ জাতীয় নির্বাচকদের চোখে নেতৃত্ব দেবার অধিকারি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। খুলে যায় অধিনায়কের দরজা।

এমএস ধোনির ক্ষেত্রেও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওয়ান ডে ম্যাচে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ক্যাপ্টেন হওয়ার দরজা খুলে দেয়। সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ২৯৮ রান তোলে। অধিনায়ক ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ধোনিকে তিন নম্বরে তুলে আনেন। ধোনি একাই ১৪৫ বলে ১৮৩ রান করে ধোনি একাই ১৪৫ বলে ১৮৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। স্ট্রাইক রেট ছিল ১২৬.২০। ম্যাচটি ভারত জয় লাভ করে।

২০০২ সালে ঢাকায় পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত মুখোমুখি হয়েছিল। পাকিস্তান টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩২৯ রান সংগ্ৰহ করে। ভারত ব্যাট করতে নেমেই ০ রানে প্রথম উইকেট হারায়। এরপর বিরাট ব্যাট করতে নেমে ৫২ বলে সাফ সেঞ্চুরি এবং ৯৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। বিরাট ১৪৮ বলে ২২টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ১৮৩ রানে আউট হন। স্ট্রাইক রেট ছিল ১২৩.৬৪।

এই তিন ক্রিকেটারই ১৮৩ রান করে ভারতীয় দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে ভারতীয় অধিনায়কের দরজা খুলে যায় এদের। সেই জন্য ভারতীয় ক্রিকেটে বলা হয় এই তিন অধিনায়কের করা ১৮৩ করা জয় আনাকে বলা হয় আশ্চর্য ১৮৩।