নিজস্ব প্রতিবেদন : ক্যারাটে শেখায় প্রথম থেকে ছিল বাবার আপত্তি। কিন্তু সেই আপত্তিকে উপেক্ষা করে নিজের জেদ ও অধ্যাবসায়ী সে আজ জেলায় প্রথম। আর জেলাস্তরে প্রথম হয়ে বীরভূমের মহিমা রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় পা রাখতে চলেছে। আর মেয়ের এমন সাফল্যে গর্বিত বাবা ও স্কুল।
বীরভূমের পাথর চাপুরী এইচডিএমএস বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মহিমা খাতুন। প্রত্যন্ত গ্রাম কুসমাশোল থেকে লড়াই করে উঠে আসা এই ছাত্রী বীরভূমের বিভিন্ন স্কুলগুলির মধ্যে আয়োজিত ১৭ বছরের ৫২ কেজির ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে।
প্রত্যন্ত গ্রামের টিনের চালে বসবাসকারী এই মহিমা একদিন টিভি দেখে ক্যারাটে শেখার ইচ্ছা প্রকাশ করে। কিন্তু রক্ষণশীল মনোভাবের জেড়ে মেয়ের এই ইচ্ছাই আপত্তি জানায় বাবা। কিন্তু মহিমার জেদের কাছে হার মানতে হয় তার বাবাকে। তারপর স্কুলের মধ্যেই চলতে থাকে তার ক্যারাটে প্রশিক্ষণ। আর তারপরেই জেলাব্যাপী প্রতিযোগিতায় এমন সাফল্য। আর তারপর রাজ্যস্তরে প্রতিযোগিতায় বীরভূমের মুখ মহিমা।
মহিমা নিজে জানায়, “যখন আমি ক্যারাটে শেখার জন্য বাড়িতে বলি, তখন সবাই বলে মেয়ে হয়ে ক্যারাটে শিখে কি করবি? আর এখন যখন প্রথম হলাম, তখন সবাই বলছে ভালো করছিস।”
মহিমা স্কুলের ক্যারাটে শিখে বাড়ি ফেরার পর নিজে নিজেই প্র্যাকটিস করত বলে জানায়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুমন্ত রাহা জানান, “জেলার বিভিন্ন স্কুল নিয়ে যে ক্যারাটে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল সেই প্রতিযোগিতায় মহিমা প্রথম হয়েছিল। তারপর সে এখন বীরভূমের হয়ে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করবে।”
মেয়ের ক্যারেট শেখা নিয়ে প্রথমে আপত্তি থাকলেও মহিমার এমন সাফল্যের পর এখন বাবা-মা থেকে পরিবারের সকলেই, পাড়াপড়শিরাও গর্বের চোখে দেখছেন মহিমাকে।