নন্দীগ্রামে পরাজয়, কোন প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কবে নিবেন শপথ

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তরফ থেকে স্লোগান তোলা হয়েছিল ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। আর সেই স্লোগানকে সায় দিয়েছে বাংলার মানুষ। তবে একটা অঘটন ঘটে গেছে নন্দীগ্রামে। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে কড়া টক্করে শেষ পর্যন্ত দু’হাজারের কম ভোটে পরাজিত হতে হয় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এই ঘটনা বাংলায় প্রথম। কোন মুখ্যমন্ত্রী হেরেও তার দল দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। এর পরেই অনেকের মধ্যে কৌতূহল মমতা ব্যানার্জি পরাজিত হয়েও কিভাবে মুখ্যমন্ত্রী হবেন?

এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে সংবিধানে। সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ করা রয়েছে যে কেউ ভোটে পরাজিত হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। এমন কি সংবিধানে এটাও উল্লেখ রয়েছে, কোন ব্যক্তি বিধায়ক অথবা সাংসদ মনোনীত না হয়েও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, এমনকি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে।

শর্ত অনুযায়ী মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী অথবা প্রধানমন্ত্রী পদে ৬ মাসের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে কোন একটি নির্বাচন কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ ছয় মাসের মধ্যে কোন একটি কেন্দ্র থেকে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করে করে আসতে হবে। এছাড়াও রয়েছে বিধান পরিষদ গঠন করে মুখ্যমন্ত্রীত্ব বজায় রাখা। যেমনটা আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে ২০১১ সালে দেখেছিলাম।

শুধু পশ্চিমবঙ্গের নয় এমন উদাহরণ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। সম্প্রতি বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত না হয়েই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিরথ সিং রাওয়াত। আবার দল জিতেছে অথচ মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হেরে গেছেন এমন উদাহরণও এই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে হিমাচল প্রদেশের বিধানসভার নির্বাচনে দল হিসেবে বিজেপি জয়লাভ করলেও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে পরাজিত হয়েছিলেন প্রেম কুমার ধুমাল। পরে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করা হয় জয়রাম ঠাকুরকে।

এছাড়াও ১৯৫২ সালে দেশে যখন প্রথম বিধানসভা নির্বাচন হয় সেই সময় স্টেট অফ বম্বের (মহারাষ্ট্র ও গুজরাত) বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন মোরারাজি দেশাই। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। একইভাবে ওই বছর নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সি রাজাগোপালাচারি।

[aaroporuntag]
তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন বলে সোমবার জানালেন।