দুটি কেন্দ্রে কেন প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবছেন মমতা, ব্যাখ্যা দিলেন বিরোধীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। সোমবার নন্দীগ্রামে তার সভা থেকে তিনি নিজেই এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হলেও ভবানীপুর থেকেও তিনি দাঁড়াবেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেখালির সভা থেকে দিন বলেন, “ভবানীপুর যদি আমার বোন তাহলে নন্দীগ্রাম আমার মেজো বোন। পারলে দুটো আসনে লড়বো। আমার দলের সভাপতি সুব্রত বক্সীকে অনুরোধ করবো দুটো জায়গাতেই আমার নামটা দিয়ে দেওয়ার জন্য।” অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর এবং নন্দীগ্রাম এই দুটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

আর এর পরেই শুরু হয়েছে বিরোধীদের কটাক্ষ। কটাক্ষের পাশাপাশি তারা ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেছেন কেন মুখ্যমন্ত্রী দুটি আসন থেকে লড়াইয়ে নামার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বিজেপি, কংগ্রেস, বাম সব পক্ষই মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের ইচ্ছা প্রকাশের পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, “লোকসভা নির্বাচনের পরেই বোঝা গিয়েছিল উনি একটি নিরাপদ কেন্দ্র খুঁজছেন নিজের জন্য। নিজের কেন্দ্রকে আর তাঁর নিরাপদ বলে মনে হচ্ছে না। উনি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে চাইছেন কারণ ভবানীপুরে উনি হারবেন। ভবানীপুরে তাঁর দাঁড়ানোর সাহস নেই। ১৪ বছর পর তাঁর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়লো! ওঁর সভায় যতই লোক হোক না কেন উনি হার এড়াতে পারবেন না।”

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, “ভবানীপুর কেন্দ্রীয় বাঙালি ভোটদাতাদের সংখ্যা বেশি। সেখানে উনার জনপ্রিয়তা কমছে। উনি বুঝতে পেরেছেন ভবানীপুর আর রক্ষা করতে পারবেন না তাই বিকল্প হিসাবে নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে।”

একইভাবে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও জানিয়েছেন, “ভবানীপুর কেন্দ্রে তিনি জয় পাবেন না বলেই বিকল্প রাস্তা হিসাবে নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর চিন্তাভাবনা করছেন।”

অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় কড়া আক্রমন করে জানিয়েছেন, “‌মমতা ব্যানার্জী পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন। এক জায়গায় নির্বাচনে দাঁড়ালে হেরে যেতে পারেন তাই তিনি আরও একটা জায়গা খুঁজছেন। নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর সব আন্দোলনে ক্ষেত্রে আমি নিজে ছিলাম আর তার কৃতিত্ব নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।”