পুলিশে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য দারুণ সুখবর, নিয়োগে অভিনব ভাবনা মমতার

নিজস্ব প্রতিবেদন : শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে তুলকালাম রাজ্য। এই নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা জেলবন্দী। শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির পাশাপাশি এবার গত কয়েক মাস ধরে পুলিশি নিয়োগের ক্ষেত্রেও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রিজার্ভেশন পলিসি নাম করে নিয়োগ আটকে রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি আদালতের দোহায় দেখিয়ে নিয়োগ আটকে রাখার অভিযোগ উঠছে চাকরিপ্রার্থীদের তরফ থেকে।

আন্দোলনকারীদের অনেকের বক্তব্য, বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন রিক্রুটমেন্ট পলিসি তৈরি করা হচ্ছে এবং নিয়োগ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশে চাকরির নিয়োগের জন্য যে সকল চাকরি প্রার্থীরা দাবি তুলছেন তারাও নতুন রিক্রুটমেন্ট পলিসির আওতায় নিয়োগের দাবি তুলছেন। এই পরিস্থিতিতেই পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত না করে তা সরলীকরণ করার পরামর্শ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুধু তাই নয় গত সপ্তাহে রাজ্য মন্ত্রিসভার যে বৈঠক হয় সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্য সরকারের সম্মতি থাকা সত্ত্বেও কেন বহু ক্ষেত্রে নিয়োগ আটকে থাকছে! গত বছর ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ দিবসের দিন নিয়োগের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক সিদ্ধান্তের কথা জানালেও নিয়োগ হয়নি।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমি নির্দেশ দিচ্ছি ছয় মাসের মধ্যে রাজ্যের সব পুলিশে নিয়োগ সেরে ফেলতে হবে। ট্রেনিং হিসাবে আগে যেটা ছয় মাসে দিতে, সেটা সাত দিন ট্রেনিং দিয়ে এক একটা পুলিশ স্টেশনে পাঠাও। থানায় ফোর্স বাড়াও। ওখান থেকে ফিল্ড ট্রেনিং দেবে। তখন সেখান থেকে বাকি ট্রেনিংগুলো সপ্তাহে সাত দিন করে কাজে লাগাও, ২১ দিন তুমি ফিল্ডে কাজে লাগাও।”

এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, “আমরা আগে ছয় মাসের জন্য ট্রেনিং দিতাম। আমাদের এখানে হাজার হাজার নিয়োগের সুযোগ পরে রয়েছে। কিন্তু একটা ক্যাজুয়েলনেস চলে এসেছে।”