‘পশ্চিমবঙ্গে সেরা পরিকাঠামো আছে’, ইলন মাস্কের টেসলাকে আমন্ত্রণ মমতার মন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : ঠিক দু’দিন আগে ভারতে টেসলা আসা নিয়ে খোদ খেদ প্রকাশ করেছিলেন এলন মাস্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছিলেন, ভারতের টেসলা আনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। মূলত তিনি এটি লিখেছিলেন ভারতে কেন টেসলা আসছে না সেই প্রশ্নের উত্তরে। এরপর থেকেই সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। তবে এমন পরিস্থিতিতে সুযোগ বুঝে কোপ মারতে তৈরি অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি।

অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি মোদি সরকারের সমালোচনা করে নিজেদের রাজ্যে টেসলাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। এই সকল রাজ্যের মধ্যে অবশ্যই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের জন্য টেসলার সিইও এলন মাস্ককে রবিবার খোদ আমন্ত্রণ জানালেন মমতার মন্ত্রী। সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী গোলাম রব্বানি দাবি করেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে সেরা পরিকাঠামো আছে।’ তার কথা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের জন্য সেরা পরিকাঠামো রয়েছে।

মমতার মন্ত্রীর এহেন দাবির পরেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে বিজেপি তৃণমূল তরজা। বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য সিঙ্গুরের প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা দিতে ছাড়েন নি। অমিত মালব্য লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এলন মাস্ককে বাংলায় বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেকর্ড দিয়ে শুরু করে কি সিঙ্গুর আন্দোলনের সঙ্গে শেষ হবে মন্ত্রীর বার্তা?”

এলন মাস্কের করা টুইটকে রিটুইট করে মমতার মন্ত্রী লেখেন, “এখানে চলে আসুন। পশ্চিমবঙ্গে সেরা পরিকাঠামো আছে এবং আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’চোখ জুড়ে স্বপ্ন আছে। বাংলা মানে বাণিজ্য।”

তবে এর পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে নানান ধরনের মন্তব্য। কেউ কেউ লিখেছেন, “যারা টাটার ন্যানোকে রাখতে পারেনি, তারা আবার ইলনের টেসলাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।”

আবার কেউ লিখেছেন, “সিঙ্গুরে টাটার কারখানা বন্ধ করে সর্ষে চাষ করার পর আর কোনও শিল্পোদ্যোগী আসবে? টেসলা তো ইলেকট্রিক গাড়ি বানায়, কৃষিযন্ত্র তো নয়। রাজ্যের সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরাতে হবে, নির্ভরশীল হয়ে উঠতে হবে। টুইট করলেই উদ্যোগ আসবে না।”

রবিবাসরীয় দুপুর বেলায় এই সবকিছু মিলিয়ে তৃণমূল বিজেপি ছাড়াও সোশ্যাল নাগরিকদের একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা মন্তব্যে সরগরম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।