বিনামূল্যে করোনার টিকা বিলি নিয়ে খোলা চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর, উঠছে নানান প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি শনিবার করোনার ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি জরুরি বৈঠকের পর ঘোষণা করেন আগামী ১৬ তারিখ থেকে দেশজুড়ে করোনার টিকা বিতরণ করা হবে। প্রথমেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য এবং জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্তরা করোনার টিকা পাবেন। পাশাপাশি করোনার টিকা দেওয়া হবে ৫০ বছর বয়সের বেশি এবং ৫০ বছর কম বয়সী কো-মর্বিডিটিদের। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি। যাদের বিনামূল্যে দেওয়া হবেই করোনার টিকা।

তবে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়ে ঘোষণা করলেন রাজ্যের প্রতিটি মানুষের জন্য বিনামূল্যে করোনার টিকার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণা এবং চিঠি ঘিরে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেসকল প্রশ্নগুলির মধ্যে অন্যতম হলো অর্থের যোগান। এর পাশাপাশি বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন্দ্র সরকার যখন দেশের ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলছে তখন পিসি ক্রেডিট নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভ্যাকসিন বিলি সংক্রান্ত চিঠিতে লিখেছেন, “করোনা মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য রাজ্যের সব পুলিশ কর্মী, হোম গার্ড, অসামরিক প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক, সংশোধনাগার কর্মী, বিপর্যয় মোকাবিলায় দপ্তরের যুক্ত কর্মীরা যেভাবে সর্বশক্তি দিয়ে মানুষের পাশে থেকে এবং মানুষের সেবা করে চলেছেন তার জন্য তাদের কুর্নিশ জানাই।” পাশাপাশি তিনি ওই চিঠিতে লিখেছেন, “অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সকলের কাছে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিনামূল্যে রাজ্যের সকল মানুষের কাছে এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার।”

কিন্তু এর পরেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের প্রশ্ন খরচ নিয়ে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১০ কোটি মানুষের বাস। সেই জায়গায় সকলের কাছে বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার খরচ হতে পারে ৫ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। আর এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আসবে কোথায় থেকে? এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রী বারংবার দাবি করেছেন রাজ্যের কোষাগারে টাকা কম বলে।

তবে সে যাই হোক ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠি পৌঁছে গেছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমানের মতো জেলাগুলির পুলিশ ও স্বাস্থ্য-কর্তাদের কাছে।