নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভায় দুদিনের জন্য শীতকালীন অধিবেশন ডাকা হয়েছে। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে এই অধিবেশন। অধিবেশনে তৃণমূলের প্রতিটি বিধায়ককে হাজির থাকার জন্য হুইপ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও হাফ ডজনের বেশি তৃণমূল বিধায়ককে হাজির হতে দেখা গেলো না প্রথম দিনের অধিবেশনে। যার পরেই শাসক দলের অন্দরে সুর তাল লয়ে সমস্যার জল্পনা মাথাচাড়া দিচ্ছে।
দুদিনের এই অধিবেশনে প্রত্যেক বিধায়কের উপস্থিতির জন্য নির্দেশের পাশাপাশি তৃণমূলের তরফ থেকে টেক্সট মেসেজও করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন হাফ ডজনের বেশি বিধায়ক হাজির হলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গরহাজির থাকা বিধায়কদের মধ্যে বেসুরো বিধায়করা ছাড়াও রয়েছেন অনুগত বিধায়করাও। তবে অনুগত বিধায়কদের ক্ষেত্রে গরহাজিরের বেশ কিছু কারণ সামনে এসেছে।
বুধবার বিধানসভায় হাজির ছিলেন না সদ্য মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়া বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, দল থেকে বহিষ্কার করা বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, মন্ত্রিত্ব এবং দলের অন্যান্য পদ ছেড়ে দেওয়া বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা, কোর কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়া উত্তর পাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।
অন্যদিকে নিজের কেন্দ্রে ব্যস্ত থাকার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একই কারণে আসতে পারেননি পুরুলিয়ার মানবাজারের বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডু। অসুস্থতার কারণে গরহাজির সমবায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। গরহাজির ছিলেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি অসুস্থ বলে খবর। ইংরেজবাজারের বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ বাবার অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি।
তবে অনুগতদের হুইপ জারি সত্বেও বিধানসভায় না আসার পরিপেক্ষিতে নানান কারণ উঠে এলেও বেসুরো তৃণমূল বিধায়কদের বিধানসভায় উপস্থিত না হওয়ায় অমিত শাহের বঙ্গ সফরের আগে বেশ জল্পনা জুগিয়েছে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা অমিত শাহের এই বঙ্গ সফরেই বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।