Market in School: শিক্ষক-পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ সরকারী স্কুল, সেখানেই বসছে হাট

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Market in School: স্কুলে নেই পড়ুয়া, নেই মাস্টারমশাই। বন্ধ পড়ে রয়েছে স্কুল। এমনই নজির রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গোলকোটের ভাল্যগ্রাম জুনিওর হাইস্কুলে। ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকের অভাবে বন্ধ বিদ্যালয়। যার জেরে ফাঁকা জায়গায় বসছে সাপ্তাহিক হাট। স্কুলের বারান্দা, মাঠ জুড়ে চলছে প্রতি মঙ্গলবারে কেনা বেচা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বিদ্যালয় আগের হালে ফিরুক। গ্রামের একমাত্র স্কুল বন্ধ হয়ে পড়ুয়াদের অনেক খানি দূরত্ব অতিক্রম করে যেতে হয় দূরের বিদ্যালয়ে। তাই গ্রামবাসীদের দাবি পুনরায় শুরু হোক পঠনপাঠন।

Advertisements

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষকের অভাব এবং ছাত্রছাত্রী কমে আসার সমস্যা নতুন নয়। এদিকে বিকাশ ভবন সুত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী ২৫০টির বেশি স্কুলে এখন ভর্তির হার প্রায় শূন্য। অথচ এইসব বিদ্যালয়ে রয়েছেন ৫ বা ৬ জন শিক্ষক। আবার রাজ্যে এমন অনেক সরকারি স্কুল রয়েছে যেখানে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা বেশি অথচ রয়েছে শিক্ষকের অভাব। ফলে বোঝাই যাচ্ছে রাজ্য জুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।

Advertisements

এরকমই ধিক্কারজনক পরিস্থিতির শিকার হয়েছে মঙ্গলকোটের এই সরকারি স্কুলটিও (Market in School)। গ্রামের বাসিন্দাদের দাবিতে ২০১৫-১৬ সাল নাগাদ শুরু হয় এই বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। সরকারের অনুমোদনে প্রথম দিকে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পঠনপাঠন করানোর জন্য ছিলেন ২ জন অতিথি শিক্ষক। সেই সময় বিদ্যালয়ে ১০০ জনেরও বেশি পড়ুয়া ছিল বলে জানা যায়। পরবর্তীতে আর শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। ফলে ক্রমাগতই কমতে শুরু করে পড়ুয়ার সংখ্যা। এভাবে ২০২৩ সালে একমাত্র অতিথি শিক্ষকও বিদ্যালয়ে পড়াতে আসা বন্ধ করলে তালা পড়ে বিদ্যালয়ে।

Advertisements

আরও পড়ুন: রাজ্য সরকার কোন কর্মীদের অবসরের বয়স ৩ বছর বাড়িয়েছে জানেন কি?

আর সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন হাট (Market in School) বসার স্থান রূপে ব্যবহার হচ্ছে। সপ্তাহের প্রত্যেক মঙ্গলবার বসে হাট। ওইদিন স্কুল চত্বরে গেলে বোঝার উপায় থাকবেনা যে এটিও কোনো একদিন সমাজের শিক্ষার কাজে অংশীদার হয়েছিল। সরকারী স্কুলে যেখানে পড়ুয়াদের কোলাহল, ছোটাছুটি থাকার কথা সেখানেই থাকে বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, কোচু, কুমর, পটলের ঝুড়ি আর শয়ে শয়ে ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়। লাভের আশায় স্কুলের মাঠেই গড়ে উঠছে চপ শিল্পের দোকান।

অবস্থা বুঝে গ্রামবাসীদের একাংশ দাবি করেন যাতে নতুন করে শুরু করা যায় বিদ্যালয়। জেলার শিক্ষাদপ্তরের এক আধিকারিক-কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানান সরকারী স্কুল চত্বরে এই হাট বসার খবর তাঁর জানা ছিলনা। তবে তিনি আশা দিয়েছেন যে যদি এই তথ্য সঠিক হয় তবে অবশ্যই সরকারি ভাবে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়াও স্কুল চালু করার বিষয়েও শিক্ষা দপ্তর উদ্যোগ নেবে বলে জানান তিনি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এই হাট (Market in School) বসার কথা স্বীকার করে জানান করোনার সময় গ্রামের ভিতরের হাট রাস্তার ধারে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে গ্রামবাসীদের সুবিধায় ওই হাট বন্ধ স্কুলে বসানো হচ্ছে।

Advertisements