ইসরো দপ্তর থেকে সরাসরি দেশবাসীদের জন্য বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

নিজস্ব প্রতিবেদন : ৭ই সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে অবতরণের কথা ছিল ল্যান্ডার বিক্রমের। সেই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে ইসরোর অফিসে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জেগে ছিলেন দেশের বেশিরভাগ নাগরিক। পূর্বপরিকল্পনা মত রাত্রি ১:৩৮ বিক্রমের অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু মাত্র ২.১ কিলোমিটার আগেই হঠাৎ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিক্রমের সাথে ইসরোর। হতাশা দেখা দেয় বিজ্ঞানীদের মধ্যে। কিন্তু তারপরেও তারা প্রচেষ্টা ছাড়েনি। বারংবার পুনরায় যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালানো হয় বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে। কিন্তু রাতে তা আর হয়নি।

রাত্রি ২:২০ মিনিটে ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন ঘোষণা করেন, সমস্ত কিছু স্বাভাবিক চলছিল কিন্তু তার পরেই হঠাৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আগেই ইসরোর চেয়ারম্যানের কাছে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তাকে আশ্বাস দেন ৯৫% চন্দ্র অভিযানের সাফল্যের জন্য। শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নন, রাষ্ট্রপতি থেকে বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীও দাঁড়িয়েছেন ইসরোর পাশে। ইসরোর পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা দেশ। সবাই গর্বিত ইসরোর এতটা সাফল্যের জন্য।

বিক্রমের চাঁদে অবতরণের হার্ড ব্রেকিং পর্ব সম্পূর্ণ হয় দক্ষতার এবং নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে। তারপর শুরু হয় ফাইন ব্রেকিং পর্ব। আর এখানেই দেখা দেয় বিপত্তি। যদিও বিজ্ঞানীরা এখনো পর্যন্ত নিজেদের আশা জুগিয়ে রেখেছেন পুনরায় বিক্রমের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন বলে।

ইসরোর দপ্তর থেকে আজ সকাল ৮ টায় বিক্রমের অবতরণের ঘটনার বিষয়ে দেশবাসীদের উজ্জীবিত করতে এবং ভারতের বিজ্ঞানীদের পাশে থাকতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরাসরি বার্তা ইসরো দপ্তর থেকে।

বিজ্ঞানীদের আশা, প্রথমত হয়তো বিক্রম চাঁদের মাটিতে ভেঙ্গে গুড়িয়ে পড়েছে, সে ক্ষেত্রে আর যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, স্বাভাবিকভাবেই চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে বিক্রম। আর এমনটা যদি হয়ে থাকে তাহলে আবার যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব। কারণ প্যানেলে যে ত্রুটি দেখা দিয়েছে, সেই প্যানেলে সূর্যের আলো পড়লে হয়তো আবারও স্বাভাবিক কাজ শুরু করতেও পারে। এছাড়াও অরবিটার ছবি পাঠিয়ে বিক্রমের হদিস দিতে পারে।