ঔরঙ্গাবাদের হাতছানি বাংলায়, চালকের তৎপরতায় বাঁচলো ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের প্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : ঔরঙ্গাবাদের পুনরাবৃত্তি ঘটতেই পারত বাংলাতেও। চালকের তৎপরতায় বেঁচে গেল ২০টি আদিবাসী পরিযায়ী শ্রমিকের প্রাণ। শুক্রবার রাতে বর্ধমান থেকে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের দল রেললাইন ধরে যাচ্ছিলেন ঝাড়খণ্ডের বারহাওড়া। ঠিক সেসময় নলহাটির স্টেশনের আগে ব্রাহ্মণী সেতুর কাছে লাইন দিয়ে হাঁটার সময় আচমকাই চলে আসে একটি ইনস্পেকশন ট্রেন। তবে কোনরকম ক্ষয়ক্ষতির আগেই ওই ইন্সপেকশন ট্রেনের চালক লাইনের ওপর দিয়ে শ্রমিকদের হাঁটতে দেখে ট্রেন থামিয়ে দেন। যে কারণেই বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ওই শ্রমিকদল বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ঔরঙ্গাবাদের ঘটনা এখন আমাদের কারোর অজানা নয়। পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি দল রেললাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার সময় ক্লান্ত হয়ে পড়লে লাইনের উপরেই ঘুমিয়ে পড়ে। তারপর ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটি মালগাড়ি ওই লাইন দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ওই শ্রমিকের দল। মৃত্যু হয় ১৬ জন শ্রমিকের। ৪ জন শ্রমিক রেল লাইনের বাইরে থাকায় কোনোক্রমে প্রাণে বেঁচে যান। আর এই ঘটনার পর গোটা দেশ মর্মাহত হয়ে পড়ে। কষ্ট করে হাজার হাজার কিলোমিটার হেঁটে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা হয়নি।

সেই ঘটনার মতোই বীরভূমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো বীরভূমের নলহাটিতেও। ঠিক কী হয়েছিল বীরভূমের নলহাটিতে?

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটি স্টেশনের কাছে রেলের নজরে আসা ওই ২০ জন শ্রমিক কখনও সড়ক পথ কখনও রেলপথ ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাদের দলে ছিলেন বয়স্ক থেকে খুদেরাও। লাইনের উপর দিয়ে হাঁটতে থাকা অবস্থায় ইনস্পেকশন একটি ট্রেনের চালক তাদের দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি ট্রেন থামিয়ে খবর দেন নলহাটি স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজারকে। তারপর তাদের নলহাটি জংশনে থামিয়ে রাতের খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্ব নেয় নলহাটি পৌরসভা।