জেল খেটেছেন, সোনাও জিতেছেন, মিলখা সিংয়ের অজানা ৫ কাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের কিংবদন্তি অ্যাথলিট মিলখা সিং শুক্রবার রাতে জীবনযুদ্ধে পরাজিত হন। কিংবদন্তি এই তারকার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে আসে দেশজুড়ে। মিলখা সিং যেভাবে দেশের জন্য নিজের সর্বস্ব তুলে দিয়ে গিয়েছেন তা ভারতীয়রা কোনো ভুলতে পারবেন না।

অলিম্পিকে তিন তিনবার তিনি অংশগ্রহণ করেন। তবে এই তিন বারের মধ্যে একবার অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়। তবে তা সত্ত্বেও তিনি এই অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় এমন একটি রেকর্ড তৈরি করেছিলেন যা জাতীয় স্তরে ৪০ বছর অক্ষুন্ন ছিল। রুম অলিম্পিকে ৪০০ মিটার দৌড় শেষ করেছিলেন ৪৫.৭৩ সেকেন্ডে। অলিম্পিকে সফলতা না মিললেও এশিয়ান গেমস এবং কমনওয়েলথ গেমসে তিনি একের পর এক নজির তৈরি করেন।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ, পদক এসব ছাড়াও ‘উড়ন্ত শিখ’ মিলখা সিং এর জীবনের এমন একাধিক ঘটনা রয়েছে যা হয়তো অনেকের অজানা। তবে এই সকল ঘটনার মধ্যে পাঁচটি ঘটনা দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

১) মিলখা সিং সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন একজন সেনা টেকনিক্যাল কর্মী হিসাবে। এই সেনাবাহিনীতে কাজ করার সময় প্রথম দিকে তিনি বেতন পেতেন মাত্র ৩৯ টাকা ৮ আনা।

২) মিলখা সিংকে একটা সময় তিহার জেলেও কাটাতে হয়েছিল। বিনা টিকিটে রেল যাত্রা করার সময় তিনি গ্রেফতার হন। এরপর তার দিদি নিজের গয়না বিক্রি করে তাকে জামিন করিয়েছিলেন।

৩) ‘উড়ন্ত শিখ’ নামকরণের কারণ কি? এই নামে তাকে প্রথম ডেকেছিলেন পাকিস্তানের জেনারেল আয়ুব খান। এশিয়ান গেমসে দুরন্ত পারফরম্যান্স করার জন্য প্রথম তাকে এই নামে ডাকা হয়।

৪) মিলখা সিং জীবনে যত পদক জিতেছেন কোন পদকই তিনি নিজের কাছে রাখেন নি। তার প্রাপ্ত সমস্ত পদক তিনি ভারত সরকারের হাতে তুলে দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর এই সকল সমস্ত পদ রয়েছে পাটিয়ালার স্পোর্টস মিউজিয়ামে।

৫) স্বাধীন ভারতের প্রথম কোন অ্যাথলিট হিসাবে কমনওয়েলথ গেমসে তিনিই সোনা জিতেছিলেন। ১৯৫৮ সালে কার্ডিফে ৪৪০ মিটার দৌড়ে এই সোনা পান তিনি। সেই বছরই তিনি পেয়েছিলেন পদ্মশ্রী। তবে তার চার দশক পর ২০০১ সালে তিনি পান অর্জুন পুরস্কার।