তীব্র শীতে CAA ও NRC -র উগ্র আন্দোলনকে গণতান্ত্রিক পথে ফেরাতে রাতভর অবস্থান বিধায়কের

নিজস্ব প্রতিবেদন : নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ আইনে পরিণত হওয়ার সাথে সাথেই উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম, ত্রিপুরার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এই আইনের প্রতিবাদে আগুন জ্বলতে শুরু করে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদীয়া, হুগলির মত জেলায় মানুষেরা এই আইনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে উগ্র আন্দোলনের পথ বেছে নেয়। যে কারণে কয়েক’শ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়, ভোগান্তি বাড়ে আমজনতার। এরই প্রতিবাদে অর্থাৎ উগ্র আন্দোলনকে গণতান্ত্রিক পথে ফেরাতে অবস্থান-বিক্ষোভ হাঁসন বিধানসভার বিধায়ক মিল্টন রশিদের।

তীব্র শীতে যখন রাজ্যের বাসিন্দাদের অবস্থা জুবুথুবু, ঠিক তখনই তিনি রামপুরহাট মহকুমা শাসক ভবনের সামনে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন। শীতে জুবুথুবু অবস্থাতেও তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়, যতক্ষণ না বাংলার মানুষ অগণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথকে ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে ফিরে না আসছেন ততক্ষণ চলবে তাঁর এই অবস্থান বিক্ষোভ।

অবস্থান-বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে তিনি জানান, “ক্যাব নামক যে বিল আইনে পরিণত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে লড়াই শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নয়, সবার। তবে এই লড়াইয়ে অবশ্যই গণতান্ত্রিক পথে হওয়া উচিত ছিল। বাংলা সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় এই আইন নিয়ে যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তাকে আটকানোর জন্য সংবিধান বাঁচাও নামে আমাদের এই ধরনা মঞ্চ।”

তাঁর আরও দাবি, “এই আইনটি পাস হয়ে যাওয়ার পরে গ্রাম বাংলার মানুষ যেভাবে ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পথে নেমে রাস্তাঘাট, রেললাইন, ট্রেন ভাঙচুর করেছে তাতে নিজের পরিবেশ, পরিবার এবং সমাজের ক্ষতি করছে। আর এগুলি করে এই আইনের পরিবর্তন হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “সংবিধান বাঁচানোর এই লড়াইয়ে আমার মত অন্যান্য বিধায়করা পথে নামুন, তাহলে এইভাবে অগণতান্ত্রিক লড়াইয়ের পথ বেছে নেবেন না গ্রাম বাংলার মানুষরা।”

হাঁসন বিধানসভার বিধায়ক মিল্টন রশিদের আরও দাবি, “নতুন যে আইন পাস হয়েছে সেই আইন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিকদের জন্য নয়। এই আইন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের থেকে যারা এসেছেন তাদের জন্য। সুতরাং আপনারা অযথা চিন্তা করে মস্তিষ্ককে বিকৃত করবেন না।”