হারিয়ে যাওয়া শিশুদের বাড়ি ফেরাবে No More Missing, কুর্ণিশ জানাচ্ছে বিশ্ব

নিজস্ব প্রতিবেদন : সারা পৃথিবীতে প্রতিদিন প্রায় ১০০০০ শিশু কোথায় যেন চলে যায়, তারা আর ফিরে আসে না। এ নিয়ে হাজার লেখালেখির পরও খোঁজ মেলেনি হারিয়ে যাওয়া ছেলে মেয়েদের। অথচ তারা আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলে এমনটাই সত্য। দেখেও না দেখার ভান করে আমাদের প্রতিদিন চলে যাওয়ার এই অভ্যেসকে প্রশ্রয় দিয়েছে এমন ঘটনা।

পরিসংখ্যান শুনলে অবাক হয়ে যাবেন, আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার শিশু কোথায় যেন গায়েব হয়ে যায়। কিন্তু এই সকল শিশুরা যাচ্ছে কোথায়? প্রশ্ন জাগে না! শপিং মলের বাইরে, রাস্তার সিগনালে দাঁড়িয়ে জীর্ণ পোশাকে, শীর্ণ চেহারায়, এলোমেলো চুলে দাঁড়িয়ে থাকে তারা। আর তাদের কেউ দেখে, কেউ আবার না দেখার ভান করে চলে যায়। কেউ আবার সহানুভূতি দেখিয়ে দু’পয়সা খুচরো হাতে দিয়ে ঘাড় থেকে পাপ নামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কখনো একবারও নিজেকে প্রশ্ন করি না, এরা কারা? কিন্তু এভাবেই যদি নিজের ঘরের ছোট্ট শিশুটি কোথাও চলে যায়।

আসলে শপিং মলের সামনে, সিগন্যালের পাশে, ট্রেনে বাসে হাত পেতে দাঁড়িয়ে থাকা এই সকল শিশুগুলি ধোঁয়াশা। আর এই শিশুগুলিই প্রতি বছর দেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া ১ লক্ষ ৩৫ হাজার শিশুর মধ্যে একজন। ভাবতে অবাক লাগলেও গত বছর এই সকল শিশুদের থেকেই হারিয়ে যাওয়া শিশুদের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৩০০০ শিশু। এর উদাহরণ রয়েছে অজস্র, বিকানোরের হারিয়ে যাওয়া রাজুকে পাওয়া গিয়েছে বারাসাতে, হুগলির ভ্যানিশ হয়ে যাওয়া মালাকে পাওয়া গিয়েছে। কারণ এভাবেই সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে ওরা।

আর এদের বাড়ি ফেরাতে অভিনব উদ্যোগ #NoMoreMissing. জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে ৫ টাকা না দিয়ে শুধু একটা ছবি তুলে নিন স্মার্টফোনে। তারপর সেটিকে সময় করে একবার পাঠিয়ে দিন ফেসবুকের ‘নো মোর মিসিং’ গ্রুপে, পেজে অথবা জানান nomoremissing.com-এ সাথে অবশ্যই লিখবেন শিশুটিকে দেখতে পাওয়া স্থানের নাম ও শহরের নাম। ওই শিশুটি ফিরে পেতে পারে তার হারিয়ে যাওয়া ঘর।

‘নো মোর মিসিং’-এর ক্যাম্পেইনিং শুরু হয় ২০১৫ সালে। এর উদ্দেশ্য হল সোশ্যাল নেটওয়ার্ককে কাজে লাগে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে দেওয়া তাদের ঘর। গোটা দেশ ব্যাপী চলছে তাদের এই ক্যাম্পেনিং। অজস্র মানুষ এই ক্যাম্পেইনে উৎসাহিত হয়ে সেই সমস্ত শিশুদের ছবি পাঠাচ্ছেন অবিরত, যার ফলাফল গতবছরের উদাহরণ।

আর এই ‘নো মোর মিসিং’ প্রচার চালাচ্ছেন বলি থেকে টলি তারকারা। প্রচারের সাথে যুক্ত টলিউডের অন্যতম তারকা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, বলিউডের অনিল কাপুর, জন আব্রাহামের মত নামী দামি তারকারা।