বিজেপিতে যোগ দিয়ে নিজের স্বপ্ন নিয়ে মুখ খুললেন মিঠুন চক্রবর্তী

নিজস্ব প্রতিবেদন : বলিউড তথা টলিউডের অন্যতম অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী রবিবার মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে বিজেপিতে যোগ দেন। আর এই যোগদানের পর তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান বিদ্রুপ ছড়িয়ে পড়ে, শাসকদল তৃণমূলের নেতারাও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তবে এরই মাঝে তিনি তার স্বপ্ন নিয়ে মুখ খুললেন।

সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মিঠুন চক্রবর্তী জানান, “রাজনীতি নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। তবে আমি বাকি কারোর সাথে ছিলাম না। কেবলমাত্র তৃণমূল আমাকে সাংসদ বানিয়েছিল। তবে আমি তা ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু কারোর উপর আঙ্গুল তুলবো না। আমি কখনোই বলবো না এটা ওর ভুল ছিলো, এটা তার ভুল ছিল। শুধু একটা কথাই বলবো এটা আমার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এখানেই তা সমাপ্ত করে দেওয়া উচিত।”

এর পরেই তিনি নিজের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে জানান, “আমি যখন ১৮ বছর বয়সী ছিলাম তখন থেকেই আমার একটা স্বপ্ন ছিল। আর সেই স্বপ্ন ছিল আমি গরিবদের সাথে থাকবো, গরিবদের সাহায্য করবো। গরিবদের সম্মান দেওয়ার ব্যবস্থা করব। আপনারা জেনে থাকবেন আমি শ্রমিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম ২৫ বছর। আমি হয়তো পাবলিসিটি করি না কিন্তু কারোর কোন সাহায্য দরকার হলে দাদা কী করেন সেটা সবাই জানে।”

বিজেপি প্রসঙ্গে তিনি জানান, “কারোর ভাল লাগতে পারে অথবা কারোর খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে একটি দলই রয়েছে যারা গরিবদের জন্য কিছু করে। সেটি হল বিজেপি। আর আমি যদি চাই গরিবদের সাহায্য করবো তাহলে কারোর হাত তো ধরতে হবে। তাতে আপনারা আমাকে স্বার্থপর বলতে পারেন। কিন্তু আমার এই স্বার্থপরতার পিছনে রয়েছে একটি কারণ, আমি গরিব মানুষদের সাথে থাকতে চাই। গরিব মানুষদের পাশে থাকতে চাই। গরিব মানুষদের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে চাই।”

[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, মিঠুন চক্রবর্তী জীবনের প্রথম দিকে নকশাল ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন। যার পর কংগ্রেস এবং ঘনিষ্ঠ হন। পরে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হলে তাকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে ২০১৪ সালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেই সময়টা তার পক্ষে ভালো না যাওয়াই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। আর এরপর দীর্ঘ ৬ বছর কোনো রকম রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা না রাখার পর একুশের বিধানসভা ভোটের আগে নাম লেখালেন গেরুয়া শিবিরে।