দিদিকে এড়াতে অনলাইনে CAA প্রক্রিয়া চালু করার ভাবনা মোদীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ (CAA) নিয়ে উত্তাল দেশের বেশিরভাগ রাজ্য। আবার এহেন মুহূর্তেই কেরল বিধানসভায় পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের প্রস্তাব। যদিও এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, নাগরিকত্ব আইন বাতিল নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনো হাত নেই। বরং আইনি পরামর্শ নিতে।

তবে দেশজুড়ে এই বিক্ষোভের মধ্যেই নতুন করে একটি জল্পনা শুরু হয়েছে। পিটিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে এহেন বিক্ষোভের মুহূর্তে রাজ্যগুলিকে অপ্রাসঙ্গিক করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা অনলাইনে ভাবছে কেন্দ্র সরকার। আর এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে চালু হলে রাজ্যগুলির কোনরকম হস্তক্ষেপের সুযোগই থাকবে না বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা জোরকদমে জানিয়ে দিয়েছেন তাদের রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু করতে দেবেন না। বর্তমান আইন অনুযায়ী জেলাশাসকের মাধ্যমে নাগরিকত্বের আবেদন করতে হয়। এর পরেই সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিক জানিয়েছেন, “নাগরিকত্বের জন্য আবেদন, তথ্য যাচাই এবং নাগরিকত্ব প্রদান সমস্ত বিষয়টি অনলাইনে করার চিন্তাভাবনা চালানো হচ্ছে। এমনকি দেখভালের জন্য জেলাশাসকের পরিবর্তে নতুন কোন কর্তৃপক্ষকে তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।”

এমনকি এই আইনকে বাস্তবায়িত করার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, “জানতাম বিরোধিতা হবে। তবে আইন কিভাবে প্রয়োগ করতে হয় সেটাও জানা আছে।” আর অমিত শাহের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, অনলাইন পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অমিত শাহ।