নিজস্ব প্রতিবেদন : মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর জনপ্রিয়তা আজও সমানতালে রয়েছে বাংলায়। সুভাষ চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠ এই অভিনেতা একসময় তৃণমূলে নাম লেখালেও দলনেত্রীর সাথে ধীরে ধীরে তার দূরত্ব তৈরি হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন বছর আগেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। আর এই মহাগুরু অভিনেতাকে নিয়ে এবার জল্পনা তৈরি হয়েছে বিজেপি যোগের।
জল্পনা তৈরি হওয়ার মূলে রয়েছে হঠাৎ সরস্বতী পুজোর দিন মিঠুন চক্রবর্তীর মুম্বইয়ের বাড়িতে RSS প্রধান মোহন ভাগবতের উপস্থিতি। এটাও জানা গিয়েছে যে দীর্ঘক্ষন ধরে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। তবে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা সম্পর্কে দুজনেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে দু’পক্ষই মুখে কুলুপ দিলেও মোহন ভাগবতের সাথে মিঠুন চক্রবর্তীর রুদ্ধদ্বার বৈঠক এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এই প্রথম আরএসএসের সাক্ষাৎ তা নয়। এর আগেও ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে মিঠুন চক্রবর্তী আরএসএসের সদর দপ্তর নাগপুরে যান। সেখানেও বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল দুজনকে। কিন্তু তারপরেও দুজনে চুপ ছিলেন। বৈঠকের বিষয়ে কোনো রকম মুখ খুলতে দেখা যায়নি কোন পক্ষকে।
বাম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর সাথে মিঠুন চক্রবর্তীর সম্পর্ক ছিল একেবারে পারিবারিক। সুভাষ চক্রবর্তীকে মিঠুন দাদার মতো মান্যতা দিতেন। তবে সুভাষ চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর রাজ্যের তৃণমূল সরকার আসার কয়েক মাস আগে তৃণমূলের সাথে মিঠুন চক্রবর্তীর সুসম্পর্ক তৈরি হয়। তৃণমূল সরকার এলে সেই সম্পর্ক আরও পোক্ত হয়। ২০১৪ সালে মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভায় পাঠানোর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[aaroporuntag]
তবে এই সফর মোটেই সুখকর ছিল না মিঠুনের জন্য। দলের একাধিক নেতা নেত্রীদের সাথে বনিবনা না হওয়ায় এবং চিটফান্ড কেলেঙ্কারির একাধিক নোটিশ তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে আনে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই চুপিসারে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি চলে যান রাজনীতির অন্তরালে। আর এসবের পর মোহন ভাগবতের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে জল্পনা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি আবার রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন, ‘নার্সারিতে শুরু। হাফ প্যান্টে গুরু। ফুল প্যান্টে মহাগুরু’।