হনুমানের তাণ্ডবে বন্ধ স্কুল, বাগে আনতে শুটার তলব, লঙ্কা কাণ্ড বীরভূমে

লাল্টু : বাড়ি থেকে বের হলেই গ্রামের বাসিন্দাদের লাঠি নিয়ে বের হতে হচ্ছে। হাতে এই লাঠি না থাকলেই মুশকিলে পড়তে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। রীতিমত খুব আশঙ্কার মধ্যেই দিন কাটছে বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুর (Dubrajpur) ব্লকের অন্তর্গত পন্ডিতপুর এবং হালসোত গ্রামের বাসিন্দাদের। আর তাদের এই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি হনুমান (Monkey)।

গত কয়েকদিন ধরেই ওই দুই গ্রামে তাণ্ডব চালাচ্ছে হনুমানটি। যার আতঙ্কে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। হনুমানের আক্রমণে ১২-১৩ জন জখম হয়েছেন। যার মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। বুধবার ওই হনুমানটিকে আয়ত্তে আনার জন্য বর্ধমান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে একজন শুটারকে। তবে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৬ বার চেষ্টা করেও বিফল হয় বনদপ্তর। ফলে আরও একজন শুটারকে বর্ধমান থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে।

হনুমানটির আতঙ্কে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না মহিলা ও শিশুরা। হনুমানের আতঙ্কে বন্ধ প্রাইমারি স্কুল ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। সর্বদা এলাকার উপর নজর রেখে চলেছেন দুবরাজপুরের বিডিও। হনুমানকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছেন বনদপ্তরে কর্মীরাও। হনুমানের আক্রমণ থেকে বাঁচতে হাতে লাঠি নিয়ে ঘুরছেন গ্রামবাসীরা।

এমনকি পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে দুবরাজপুরের রেঞ্জার কেশব চক্রবর্তী এলাকার মানুষকে লাঠি ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে বারণ করছেন। পাশাপাশি বাচ্চা এবং মহিলারা যতটা সম্ভব সতর্কভাবে থাকেন তার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, ওই হনুমানটিকে ধরার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি আয়ত্তে চলে আসবে।

দুবরাজপুর ব্লকের বিডিও রাজা আদক জানিয়েছেন, পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে যাতে আক্রান্তের সংখ্যা না বাড়ে তার জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি হনুমানটি ধরা পড়লেই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

গ্রামবাসীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, খুবই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে গ্রামের টেকা দায় হয়ে পড়বে তাদের কাছে।