মাটি খুঁড়তেই মিলছে সোনা, কাতারে কাতারে ভিড় গ্রামবাসীদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সেই বাণী ‘টাকা মাটি, মাটি টাকা’ই যেন বাস্তবায়িত হতে দেখলেন সোশ্যাল নাগরিকরা। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি পাহাড়ে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। আর সেখানে মাটি খুঁড়তেই মিলছে সোনা, সেই সকল সোনাগুলি তারা নিজেদের ঝুলিতে পুরে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। আর এই ভিডিও নিয়ে এখন তোলপাড় বিশ্ব।

Ahmad Algohbary নামে এক ফ্রীল্যান্স সাংবাদিক ওই সোনা কুড়ানোর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পাশাপাশি দাবি করেছেন, কঙ্গোর সাউথ কিভু এলাকায় একটি পাহাড়ের পাথুরে মাটি কেটে এই সোনার সন্ধান পাওয়া যায়। আর সেই খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দারা পড়িমড়ি করে ছুটে আসেন এলাকায়। তারপর শাবল, গাঁইতি যার কাছে যা ছিল সেই নিয়েই মাটি খুঁড়তে শুরু করেন।

কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়ের মাঝে নিজেদের সাধ্যমত যে যেমনভাবে মাটি থেকে সোনা বের করতে মত্ত হয়ে ওঠেন। আর মাটি থেকে পাওয়া সেই সকল বস্তুগুলিকে ভালো করে ধোয়ার পর দেখা যাচ্ছে ওই সকল বাসিন্দাদের হাতে রয়েছে হলুদ হলুদ ধাতু। আর এই সমস্ত বিষয়টিকে দাবি করার পাশাপাশি ওই ফ্রীল্যান্স সাংবাদিক বিভিন্ন মুহূর্তের ভিডিও তার দাবির সপক্ষে আপলোড করেছেন।

[aaroporuntag]
এমনিতেই কঙ্গোকে হীরে এবং অন্যান্য মহামূল্যবান ধাতুর স্বর্গরাজ্য বলা হয়ে থাকে। জানা যাচ্ছে যে পাহাড়ে এমন ধাতুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে সেই পাহাড়টি ৬০ থেকে ৯০ শতাংশ সোনায় ঠাঁসা। তবে সাউথ কিভু-র খনি মন্ত্রী ভেনান্ত বুরুমে মুহিগিরওয়া জানিয়েছেন, “পাহাড়ে হঠাৎ সোনার সন্ধান পাওয়া গেলেও এই ভাবে কেউ সোনা তুলতে পারেন না। সরকারিভাবে ওই পাহাড়ের মাটি কাটার কাজ বন্ধ করা হবে। এরপর কেবলমাত্র সোনা সংগ্রহের পেশায় যুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে সরকার এবং মাইনিং রেগুলেটরের রেজিস্ট্রেশন থাকা ব্যক্তিদেরই দায়িত্ব দেওয়া হবে সোনা তোলার।”