নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের ধনীদের তালিকায় ফোর্বস পত্রিকায় প্রথম দশে স্থান করে নিযেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুকেশ আম্বানি। বর্তমানে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৪.৬ বিলিয়ন ডলার। মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন তাঁর কোম্পানি এখন সম্পূর্ণ ঋণ মুক্ত। বিশ্বের বৃহৎ গ্যাস ও তৈল কোম্পানিগুলিকে পিছনে ফেলে দিয়ে এই প্রথম রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ বিশ্বের বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করল।
ব্রিটেনের বিপিপিএলসি এবং ডাচ রয়েল সেলের মতো কোম্পানিগুলিকে অর্থনৈতিক দৌড়ে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার ঘটনা ভারতীয় অর্থনীতির বিশ্বের অর্থনীতিতে বড়সড় প্রবেশ বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের প্রথম গ্যাস ও তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে প্রথমেই আছে সৌদি আরবের ARMCO কোম্পানি। অপরিশোধিত তেলের ১০ শতাংশ একাই উৎপাদন করে আরবের এই কোম্পানি। এছাড়াও আছে Exxon Mobile corp এর মতো বিশ্বের গ্যাস ও অপরিশোধিত ও পরিশোধিত তেলের বাজারকে নিয়ন্ত্রিত করার মতো কোম্পানি।
ধনীদের এই তালিকা বিশ্ব অর্থনীতির ওঠানামার সঙ্গে নিয়মিত পাল্টায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে প্রথম সারিতে আছে বেশ কয়েকজন।
তালিকায় তাদের মধ্যে প্রথমেই আছে আমাজন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেইজস। সম্পত্তির পরিমাণ ১৬০.৪ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে আছে বিল গেটস। সম্পত্তির পরিমাণ ১০৯.৯ বিলিয়ন ডলার। মুকেশ আম্বানি আছেন গুগলের সহ প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের নীচে। সম্পত্তির পরিমাণ ৬৪.৮ বিলিয়ন ডলার। আর এদের মধ্যে মুকেশ আম্বানি নিজেকে স্থান করে নিতে পারায় ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে বড়সড় ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে।
Reliance raises over ₹ 168,818 Cr. in just 58 days.#MukeshAmbani #Reliance #Jio #DigitalIndia #JioDigitalLife #WithLoveFromJio #JioPlatforms pic.twitter.com/5iE4fbOLaQ
— Reliance Jio (@reliancejio) June 19, 2020
কিন্তু কীভাবে এই লকডাউন চলাকালীন এমনটা সম্ভব হল এবং ঋণ মুক্ত হলো তা নিয়ে সংস্থার থেকে জানানো হয়েছে, মাত্র ৫৮ দিনে রিলায়েন্স তার ১৬৮৮১৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাড়িয়েছে। আর এই সম্পত্তি বাড়ানোর বিস্তারিত বিবরণ তারা তাদের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে পেশ করেছে। আর তাতে দেখা গিয়েছে ফেসবুক শহর নামজাদা ৬টি বিদেশি সংস্থাকে তাদের শেয়ার বিক্রি করে পেয়েছে ১.১৬ লক্ষ কোটি টাকা বা ১৫.২ বিলিয়ান ডলার এবং রিলায়্যান্সের ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্ম জিওর সুবাদে এসেছে আরও ৫৩ হাজার ১২০ কোটি টাকা।