বিশ্বের ধনকুবেরদের টেক্কা ভারতের মুকেশ আম্বানির, গড়লেন নতুন রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে সবচেয়ে বেশি সম্পত্তির মালিক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই নাম রয়েছে রিলায়েন্স সংস্থার কর্ণধার মুকেশ আম্বানির। ভারত ছাড়াও এশিয়ার অন্যতম ধনকুবের তিনিই। এর পাশাপাশি এবার তিনি বিশ্বের ধনকুবেরদের টেক্কা দিয়ে নতুন রেকর্ড তৈরি করলেন।

বিশ্বের সর্বাধিক ধনী ব্যক্তি, যাদের সম্পত্তি ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সেই তালিকায় এযাবত কেবল মাত্র ১১ জনের নাম ছিল। এই ১১ জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হিসেবে যাদের কথা প্রথমেই উঠে আসে তারা হলেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস বা টেসলা সংস্থার সিইও এলন মাস্কের। এবার এই সকল বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি দের সমকক্ষ হয়ে উঠলেন রিলায়েন্স সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি।

মুকেশ আম্বানির এমন রেকর্ড তৈরি করার মূলে রয়েছে শুক্রবার তাদের সংস্থার শেয়ার দর। এদিন আকাশছোঁয়া উচ্চতায় ওঠে তাদের শেয়ার। আকাশছোঁয়া উচ্চতায় এই শেয়ার দর উঠতেই মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির আনুমানিক বাজার দর পৌঁছে যায় ১০০ বিলিয়ন ডলারে, যা ভারতীয় মুদ্রায় সাত লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।

রিলায়েন্স সংস্থার পথ চলা শুরু হয় ধীরুভাই আম্বানির হাত ধরে। ২০০৫ সালে এই সংস্থার তৈল পরিশোধন ও পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসার দায়িত্ব পান মুকেশ আম্বানি। এরপর ধীরে ধীরে এই ব্যবসা সামলানোর পাশাপাশি আরও একাধিক ক্ষেত্রে হাত বাড়ান মুকেশ আম্বানি। আর সেই সকল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিনি সফলতার মুখ দেখেন। তবে মুকেশ আম্বানি এবং তাদের সংস্থার কাছে মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায় টেলিকম ব্যবসা জিও।

২০১৬ সালে এই টেলিকম নেটওয়ার্ক ব্যবসা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের টেলিকম বাজারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন চলে আসে। প্রথম 4G পরিষেবা নিয়ে আসা এই সংস্থা অন্যান্য প্রতিটি টেলিকম সংস্থাকে পিছনে ফেলে দিয়ে দেশের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা এবং টেলিকম নেটওয়ার্ক হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর গত বছর রিলায়েন্স সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া তৈরি হয় গুগল, ফেসবুক ও সিলভার লেকের মতো বড় বড় বিনিয়োগকারী সংস্থার। আর এর ফলস্বরূপ রিলায়েন্স রিটেল ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ২৭ মিলিয়ন ডলার লাভ করে।

মুকেশ আম্বানি এবং তার সংস্থার এমন পট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে টেলিকম সংস্থার জিও অন্যতম ভূমিকা পালন করলেও এখনো পর্যন্ত জীবাশ্ম থেকে জ্বালানি উৎপাদন এখনও রিলায়েন্সের লাভের একটি বড় অংশ বহন করে। প্রতি বছর রিলায়েন্স সংস্থা যে ৭৩ বিলিয়ন ডলার অর্থ লাভ করে, তার ৬০ শতাংশই আসে জ্বালানি উৎপাদন থেকে।