সত্যিই কি মুকুল রায়ের সাথে যোগাযোগ রাখছে তৃণমূল! মুখ খুললেন মুকুল রায়

হিমাদ্রি মণ্ডল : দিন কয়েক ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে ঘোর জল্পনা, তৃণমূল নাকি মুকুল রায়ের সাথে যোগাযোগ রাখছে! আর এই জল্পনার সূত্রপাত মুকুল রায়ের দিল্লি যাওয়া ও কলকাতা আসা নিয়ে।আর এই জল্পনার সাথে সাথেই রাজ্যের সাধারণ মানুষদের মধ্যে একটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া একসময়ের তৃণমূলের সেনাপতি মুকুল রায় আবার কি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরছেন! দিন কয়েক ধরেই এই জল্পনা চলার পর অবশেষে সোমবার মুখ খুললেন মুকুল রায়।

বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায় সোমবার বীরভূমের সিউড়ি শহরে আসেন দলীয় কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করতে এবং সাংবাদিক বৈঠক করতে। সেই বৈঠকেই এই জল্পনা নিয়ে স্পষ্টভাবে তিনি জানান, “সম্পূর্ণটাই মিথ্যে কথা। আমি একটা জায়গায় আছি, গুরুত্বপূর্ণ লোক। আর এই অপপ্রচার করে দলের কর্মীদের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।”

অর্থাৎ তৃণমূল মুকুল রায়ের সাথে যোগাযোগ রাখছে বলে যে জল্পনার সূত্রপাত হয়েছিল তা সম্পূর্ণ খন্ডন করে নিজেকে বিজেপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী বলে দাবি করেন। এছাড়াও তিনি এদিন আরও একটি বিষয়ে নিজের মতামত পোষণ করেন, তাহল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তার আসা নিয়ে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মুকুল রায় স্থান পেতে চলেছেন এমনও জল্পনা শুরু হয়েছে।

এনিয়ে মুকুল রায় জানান, “মন্ত্রিসভা হলো সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। কাকে তিনি মন্ত্রী করবেন, কাকে করবেন না তা সম্পূর্ণ তার উপর নির্ভর করে। দলের আমি একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসাবে দলের আমি বিভিন্ন জায়গায় আছি এবং কাজ করছি। আর এইগুলো সব বাজে খবর। বিজেপিতে এরকমভাবে কিছু হয়না। বিজেপি একটি নির্দিষ্ট নীতি সম্মত দল। ভারত এখন গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এই সময় এগুলি আলোচনা করার বিষয় নয়।”

এছাড়াও এদিন মুকুল রায় রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভায় প্রাক্তন পৌরপতিদের প্রশাসক হিসাবে বসানো নিয়ে বলেন, “মানুষ যাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে তাদেরকেই প্রশাসক পদে বসানো হচ্ছে। এনিয়ে আদালতে একটি মামলা চলছে। মামলা চলাকালীন আর বেশি কিছু বলবো না।”