তিল তিল করে সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছে ৯৯টি শহর, চিন্তিত গবেষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘদিন ধরেই গবেষকরা বলে আসছেন পরিবেশ দূষণ না ঠেকাতে পারলে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা মুশকিল। কারণ এই গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কালোছায়া ধীরে ধীরে গ্রাস করছে মানব সভ্যতাকে। দ্রুত হারে কমছে মেরু দেশের বরফ। আশঙ্কার কারণ হিসেবে গবেষকরা জানিয়েছেন, বিশ্বের বহু শহর তিল তিল করে ডুবে যাচ্ছে সমুদ্রে।

বিশ্বের যে সকল শহর তিল তিল করে সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে সেই সকল শহরের মধ্যে রয়েছে ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাইও। মহারাষ্ট্রের রাজধানী গড়ে প্রতি বছর ২ মিলিমিটার করে সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তবে শুধু ভারতের মুম্বাই নয়, এই তালিকায় কলকাতা সহ আরও কয়েকটি শহর রয়েছে।

জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র থেকে এমনই আশঙ্কার বিষয় জানা যাচ্ছে। সেই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের সপ্তম শহর মুম্বই। এখানে বাস করেন প্রায় ২ কোটি মানুষ। শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দ্রুত ডুবে যাচ্ছে। বছরে ২ মিমি করে।’ এই গবেষণা চালানো হয় ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত।

গবেষণাপত্র অনুযায়ী এমন আশঙ্কার মধ্যে থাকা শহরের সংখ্যা ৯৯। মুম্বাইয়ের থেকেও অনেক বেশি আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে চিনের তিয়ানজিনের। এই শহর প্রতি বছর ৫.২ সেন্টিমিটার করে জলের তলায় চলে যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও আরও যে সকল শহর এমন আশঙ্কার মধ্য দিয়ে রয়েছে সেগুলি হল, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা (বার্ষিক ৩.৪৪ সেন্টিমিটার), চিনের সাংহাই (বার্ষিক ২.৯৪ সেন্টিমিটার), ভিয়েতনামের হো চি মিন (বার্ষিক ২.৮১ মিলিমিটার) ও হানোই (বার্ষিক ২.৪৪ মিলিমিটার)।

গতবছর রাষ্ট্রসঙ্ঘের আবহাওয়া সংক্রান্ত প্যানেল IPCC জানিয়েছে, ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার আবহাওয়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে এই সকল ঘটনার জন্য কেবলমাত্র গ্লোবাল ওয়ার্মিং দায়ী নয়। এর সঙ্গে দায়ী ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন, খনিতে খননকাজ, প্রাকৃতিক জলাভূমি পুনরুদ্ধারের মত নানান প্রকল্প।